ফাইনালের মঞ্চে নামার আগে সানজিদা ফেসবুকে লেখেন, ‘যাঁরা আমাদের এই স্বপ্নকে আলিঙ্গন করতে উৎসুক হয়ে আছেন, সেই স্বপ্নসারথিদের জন্য এটি আমরা জিততে চাই। নিরঙ্কুশ সমর্থনের প্রতিদান আমরা দিতে চাই। ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনীকে এক পাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই আমরা।
আমাদের এই সাফল্য হয়তো আরও নতুন কিছু সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া পেতে সাহায্য করবে। অনুজদের বন্ধুর এই রাস্তাটুকু কিছু হলেও সহজ করে দিয়ে যেতে চাই।
কাল কৃষ্ণা ও সানজিদারা যখন বাংলাদেশে ফিরবেন, তখন বিমানবন্দরে তাঁদের অভ্যর্থনা জানাবেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা। সড়কেও হয়তো থাকবেন ফুটবলপ্রেমীরা। তাঁদের অভিবাদনের জবাব নারী ফুটবলাররা ছাদখোলা বাস থেকেই দিতে পারবেন।
বিআরটিসির সূত্র জানায়, নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ছাদখোলা বাসের আক্ষেপ ঘোচানোর পরিকল্পনা নেয়। তারা বিআরটিসির সঙ্গে গতকাল রাতেই যোগাযোগ করে। বিআরটিসি কোনো রকম দ্বিধা না করেই সংস্থার একটি বাসের ছাদ কেটে নারী ফুটবল দলের দেশে ফেরার উদ্যাপনটি রাঙাতে তৎপর হয়। বিআরটিসির মতিঝিল ডিপোর একটি ডাবল ডেকার বাসের ছাদ কাটা শুরু হয় আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে। আজকের মধ্যেই বাসটি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে জানান মতিঝিল ডিপোর কর্মকর্তারা।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নারী ফুটবল দল জাতিকে একটা বড় উপহার দিয়েছে। জাতি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা তাদের উদ্যাপনে সঙ্গী হতে পেরে গর্বিত।’ তিনি আরও বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা কাজ শুরু করেছেন। আজ রাতের মধ্যে বাস পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। আশা করছেন, তাঁদের এই প্রচেষ্টা নারী ফুটবল দল ও ফুটবলপ্রেমীদের জন্য কিছুটা হলেও আনন্দ দেবে এই প্রত্যাশা।