অনেক দিন হলো বিয়ে হয় হয় করে হলো না। তাই মন খারাপ করে বসে থাকে নাজারফা। আর সকলে বলে, সবারইতো গায়ে হলুদ হয়। কিন্তু আমার হয় না কেনরে শুভ?
হঠাৎ শুনতে পেলাম, আজ নাজারফার গায়ে হলুদ। শুনে প্রথমে আমার বিশ্বাস হয় নাই। কিন্তু যখন তার মুখ থেকে শুনলাম আজ তার গায়ে হলুদ এবং আজ দুপুর ০১.৪৫ মি: বিয়ে, তখন আর বিশ্বাস না করে কোনও উপায় পাওয়া গেলো না। তাই বলছি তোমাদেরকে, নাজারফার বিয়ের গল্প। কথা হবে খুব অল্প।
আজ নাজারফার বিয়ে। বিয়ে উপলক্ষে পুরো বাড়ি জমকালো ভাবে সাজানো হয়েছে। কোনও কিছুর কমতি রাখে নাই, তবুও কেনো যেন কী একটা নেই। তা খুঁজে পাওয়া গেলো না নাজারফার চোখে। তাই আমাকে স্মরণ করল! মানে তার অপেক্ষায় থাকা ছেলেটিকে। সে এসে দেখল আসলে যা নেই, তা হলো ভিড়ও নেই, বকুল, হেনা, রজনীগন্ধা ইত্যাদি নেই। আর কী করার, শুভ এক দৌড়ে গিয়ে দোকান থেকে নিয়ে এলো। কারণ, শত হলেও ভালোবাসার সেই মানুষটির আজ গায়ে হলুদ এবং দুপুরে বিয়ে।
এদিকে নাজারফা’র আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব দিয়ে বাড়ি ভরপুর। মন দিয়ে দেখছে নাজারফা’র সাজানো দেহ। নাজারফা অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশুনা করছে। বয়স তেমন না হলেও দেখতে মনে হয় পর্যাপ্ত বয়স হয়েছে। কিন্তু নাজারফা’র বয়স মাত্র ১৭ বছর ০৮ মাস ২২ দিন। এ হিসেব সবার কাছে না থাকলেও শুভর কাছে ঠিকই ছিল। কারণ তো একটাই। ভালোবাসে বলে সবসময় হিসেব রাখত। কারণ, তখন শুভর বয়স হয়েছিলো ২৯ বছর ০৩ মাস ০৮ দিন।
নাজারফাও ভালোবাসতো শুভকে। কিন্তু তা সত্যেও নাজারফা তার মা-বাবার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলো। এর মূল কারণ হল, তখনও শুভ বেকার এক শিক্ষিত যুবক। যদিও বিয়েতে নাজারফার কোন মতামত নেওয়া হয়নি। আর মতামত ছাড়াই এ বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল নাজারফা’র বাবা-মা ও বড় ভাই শরিফ।
লাল বেনারসি শাড়িতে নাজারফা’কে সত্যিই অসম্ভব সুন্দর লাগছে। লাল রংটায় নাজারফা’কে বরাবরই সুন্দর মানায়। দূরে দাঁড়িয়ে শুভ মুগ্ধ হয়ে নাজারফা’কে দেখছে। শুভ কল্পনায় যেমনটা দেখেছিল তার থেকেও একটু বেশীই সুন্দর লাগছে আজ। শুভ নাজারফার ক্লাসমেট ছিল না। তবে অনেক ভাল বন্ধু ছিল বটে। সাথে মনের এক অসাধারণ মানুষও বটে। দুজন দুজনকে সীমাহীন ভাবে ভালোবাসতো। এমনও দিন ছিল, কখনো যদি না দেখত একজন অন্যজনকে, তাহলে ছুটে চলে আসতো বাড়ীর আঙ্গিনায়।
যদিও এই বন্ধুত্বের মাঝে কখন যে মনে মনে নাজারফাকে ভালোবেসে ফেলেছে তা সে নিজেও জানে না। তারা মাঝে মাঝে বলতো। আমদের দুজ’নে অনেক ব্যবধান, তার পরেও আমাদের মাঝে এতো মিল। জানি না, থাকবে কিনা। কিন্তু কখনো সেই ভাললাগার কথা নাজারফাকে বলার মত সাহস পায়নি শুভ, বা চেষ্টাও করেনি। যদি সে আবার তাকে ভুল বোঝে তাই। বিয়ের অনুষ্ঠানে শুভ আসতে চায়নি। তবে ভাবনাবিহীন ঠিক চলে এসেছে। নাজারফা’র অনেক চাপাচাপির কারণেই তার আজ আসা। সবাই বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু, শুভ কাজ শেষ করে চুপচাপ এক কোণায় দাঁড়িয়ে নাজারফাকে দেখছে। এরই মাঝে অন্যান্য বন্ধুরা তাকে কয়েকবার করে ডেকে গিয়েছে। কিন্তু সেদিকে তার কোন খেয়াল ছিলনা।
কেন জানি শুভর মনে হচ্ছে যে, আর কোনদিন সে নাজারফাকে দেখতে পাবে না। নাজারফা আজকের পরে থেকে অন্য কারো হয়ে যাবে। আর কখনো হয়ত মন খুলে নাজারফা’র সাথে কথা বলতে পারবে না, অকারণে ঝগড়া করতে পারবে না। সকাল হলে ঝগড়া করে ঘুম থেকে উঠতে পারবে না। কে সকাল হলে ফোন দিয়ে বলবে, শুভ তুমি ঘুম থেকে উঠেছ কি? না করার সাথে সাথে ঝগড়া করার আর কেউ থাকবে না। হঠাৎ সব কিছু শূণ্য শূণ্য লাগছে। মনে হচ্ছে, জীবন থেকে অনেক মূল্যবান কিছু হারিয়ে ফেলছে শুভ। তার কল্পনার মনের মানুষটা আজ তার থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছে, অন্যের ঘরের ঘরণী হয়ে। এইসব ভাবার পর কী করে দাড়িয়ে ছিল, তা নিজের অজান্তে।
এইসব ভাবতে ভাবতে কখন যে তার পাশে এসে নাজারফা দাঁড়িয়েছে সেটা সে খেয়ালই করেনি। হঠাৎ শুনতে পেলো, কীরে হাবার মত এইখানে একা একা দাঁড়িয়ে আছিস ক্যান? শুভ একটু অপ্রস্তুত হয়ে বলল, কিছুনা, এমনি দাঁড়িয়ে আছি। তুমি এইখানে ক্যান? একটু পরে তো বরযাত্রী চলে আসবে। নাজারফা একটু হেসে বলল, হুম আসবে। তোমাকে অনেকক্ষণ থেকে একা একা চুপচাপ এইখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এলাম। তোমার কি কোন কারণে মন খারাপ?
শুভ মুচকি হেসে বলল, আরে নাহ। এমনি দেখতেছিলাম বিয়ের আয়োজন। ভাবতেছিলাম যে, কী কী খাব তোমার বিয়েতে। এই মূহুর্তে শুভর ইচ্ছে করছে নাজারফার হাত দুটো ধরে বলতে- তোমাকে অনেক ভালোবাসি, তুমি অন্য কারো হবে এটা মেনে নিতে আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে নাজারফা। তোকে ছাড়া বাকিটা জীবন চলতে পারব, কিন্তু সেটা হবে অনেক কষ্টের। এই কথাগলো বলার মত সাহস শুভর হয়ত কখনোই হবে না।
আচ্ছা নাজারফা, একটা কবিতা শুনবে কি শেষবারের মতন?
হু বল। নাজারফা’র কথা শেষ হতেই শুভ ভরাট কণ্ঠে আবৃতি শুরু করে দিলো। মনের ব্যথা নিয়ে দুচোখে জল টলটল করতেছিল তখনও।
“ আজ এই ধরায় তোমার
গায়ে হলুদ হবে নাজারফা
ও ধরায় বলবে তুমি কি ভুল
আমার ভালোবাসা হবে ভুল,
হলুদ শাড়ী খুলে তুমি
পড়িবে লাল বেনারসি শাড়ী
ছেড়ে যাবে তুমি নাজারফা
আমার হৃদয়পুরের বাড়ি..।”
শোন নাজারফা আর একটি কবিতার গান।
শয্যা হবে বন্ধু তোমার
এই আধার রাত্রি তারি সাথে
বিষন্নতায় কাটিবে এই রাত্রি।
“ আজিকে তোমার শয্যা হবে
বিষন্নতায় কাটাবো রাত্রি। ”
ক্ষণিক সময় পূর্বে নাজারফা
রেখেছিলে তোমারি হৃদয় মোহনায়
তোমারি ঐ হৃদয় মোহনায়। ”
হাজারো ঝড়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে
আর এখন করছ তুমি
নাজারফা আমায় নাজেহাল।
“ আজিকে তোমার শয্যা হবে
বিষন্নতায় কাটাবো রাত্রি। ”
“ ফুটিবে অজস্র ফুলের বাহার
হয়ে যাবে এবার বন্ধু তুমি পর
ওগো বন্ধু, তুমি পর, তুমি পর। ”
আর করব না প্রশ্ন আমার
শয্যার এ রাত্রি জানালাম বিদায়
বন্ধু তোমায় বিদায় বিদায়।
“ আজিকে তোমার শয্যা হবে
বিষন্নতায় কাটাবো রাত্রি। ”
“ থাকিও তুমি আনন্দের মোহনায়
আমি থাকিব যন্ত্রণার মেলায়
শুধু করিব হৃদয়ের রক্ত ক্ষয়। ”
আজিকে তোমার শয্যা হবে
বিষন্নতায় কাটাবো আমি রাত্রি।
“ ভেবনা কখনো নাজারফা তুমি
এখনও থাকবে শুধু আমারই
আজি তুমি যার হয়েছ সঙ্গী
শেষ নিশ্বাসে থাকিবে তাহারি। ”
“ আজিকে তোমার শয্যা হবে
বিষন্নতায় কাটাবো রাত্রি। ”
শুভ থামতেই নাজারফা বলে, এই শুভ ভাই, আজ তোমার কী হয়েছে, এটা কেমন কবিতা? আমি জানি তুমি একজন প্রেমিক কবি। মাঝে মাঝে আঁক আমার বাঁকানো ছবি, সাথে থাকে আকাশের ঐ রবি।
শুভ হেসে বলে- এটা কবিতা, হা হা হা, তুমি বুঝবে না। থাক বাপু অতো বুঝতেও চাই না, তুমি সত্যি একটা মাথা পাগল কবিতা প্রেমিক কবি। তুমি থাক, আমি যাই, বলেই নাজারফা চলে যেতে চায়। তাকে থামিয়ে দিয়ে শুভ বলে- এই শুন নাজারফা, এই বিয়েতে কি তুমি সত্যি খুশী? আজব তো শুভ ভাই! আমি খুশী হব না কেনো? কতোদিনের ইচ্ছে আমি হলুদ শাড়ি পড়ে গোসল দিবো, লাল বেনারসি শাড়ী পড়ে বরের সাথে তার বাড়ি যাবো। তো আমি খুশি হবো না, তুমি হবে? ছেলেটাকে আমারও পছন্দ তাছাড়া মা-বাবা সবাই রাজি। হঠাৎ এ প্রশ্ন করলেন যে?
নাজারফা তোমার হবু স্বামী’র নাম কি?
বাবার কাছে শুনেছি নাম… নাম…নাম… না, তোমাকে বলা যাবে না।
কেনো, নাজারফা আমাকে বলতে সমশ্যা কোথায়?
না, তেমন কোন সমশ্যা নাই।
তাহলে বলছনা কেনো?
না বলবনা, না করছি না শুভ্র তোমাকে?
আচ্ছা বলতে হবে না। আচ্ছা নাজাফা সে লোকটির বাড়ি কোথায়?
কেনো, বাড়ির নাম জেনে যাবে নাকি?
না, যাবো না।
তাহলে যানতে চাও কেনো?
এমনেতেই। থাক বলার প্রয়োজন নেই। তবে নাজারফা, সে কী করে? তা জানতে পারি কি?
হ্যা, তা জানতে পারো। তবে আমার হবু স্বামী তোমার মতো বেকার না। সে একজন বিসিএস ক্যাডার।
আচ্ছা তা বুঝলাম। কোন্ ক্যাডার, মানুষ মারার?
শুভ, ভালো হবেনা বলে দিচ্ছি।
তয় বলবি তো, কোন্ ক্যাডার?
সে হলো কলেজের অধ্যাপক।
সরকারী নাকি বেসরকারী কলেজের?
কেনো? সে সরকারী কলেজের অধ্যাপক।
আচ্ছা বুঝলাম, কোন কলেজ? কোন জেলায়?
শুভ, সে বরিশালের একটি কলেজের অধ্যাপক।
বুজেছি, সে আর কে হতে পারে।
কে, বল দেখি?
কে আবার, তুই যে প্রাইভেট পড়তে জাকির ভাইর কাছে। সেই তো?
বাহ্! তুমি দেখছি সবই খোঁজ নিয়ে রেখেছ। আবার জানতে চাও কেনো?
জবাবে শুভ বলে- আরে না এমনি, ভাবলাম বাংলা আর্ট ফিল্মের ন্যায় কি তুমিও আমাকে ছেড়ে এইভাবে চলে যাবে? আর ভাবলাম তোমার অমতে বিয়ে হচ্ছে কিনা।
হেসে দিয়ে নাজারফা বলে- না বন্ধু, দিন বদলাইছে না? এখন তাই হচ্ছে সবাই যা চাচ্ছে। জেনে রাখো, আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে এই বিয়ে হচ্ছে না। নাজারফা চলে যায়, আর শুভ….।
এরপর শুভ ভাবে- আসলেই তো, তাই হচ্ছে যা নাজারফা চাইছে। তবে কেন শুধু শুধু আশায় থাকা আমার? ভাল থাক নাজারফা, সে না হয় একাই ভালোবাসা পুষে যাবে। সব প্রেমের শুরু বন্ধুত্বে হয়, কিন্তু সব বন্ধুত্ব প্রেমে বদল হয় না। তাদের সম্পর্কটাও হয়তবা সেরকমই।
সবার সব ইচ্ছা কি চাইলেই সম্ভব হয়? নাজারফা ভাবে, আচ্ছা শুভকে যদি এই মুহূর্তে কেউ বলতো, তোমার কোন ইচ্ছাটা পূরণ করতে চাও বলো? সে কী বলতো? মানুষেরা জেনো, আর কখনও কোনো ইচ্ছে না হয়, এই ইচ্ছেটা। ভালবেসেও না বাসার অভিনয় করাটা যে কী দুঃসহ তা আজ নাজারফার বিয়েতে এসে শুভ বুঝতে পারছে হাড়ে হাড়ে। নাহ, আর এখানে থাকা যাবেনা। বরযাত্রীরা হয়ত বা এসেই গিয়েছে।
উদ্দেশ্যহীনভাবে হেঁটেই যাচ্ছে শুভ, নাজারফা’র বাড়ির ওই কোলাহল ছেড়ে, নাজারফাকে ছেড়ে অনেক অনেক দূরে। এতক্ষণে হয়ত বা বিয়ে পড়ানো শেষ হয়ে গেছে, উকিল বাড়ির মসজিদে। আজ থেকে তাদের চলার গতিপথ আলাদা। নাজারফার ক্লাস শেষে আর বিরামহীনভাবে হাঁটা হবেনা কোনদিন, ক্যাম্পাসে আর বটতলায় বসবে না আড্ডার আসর। সব ছেড়ে দিয়ে আজ জেনো নাজারফা অনেক অনেক দূরের মানুষ হয়ে যাবে। পরবাসী হয়ে থাকবে সকলের মাঝে। সে জানবে না কোনদিন, কাছে থেকেও কেউ একজন তাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসেছিল। বাসের সিটে বসে একটা ছেলে অঝোর ধারায় কাঁদছে, বাসের সবাই কৌতূহলী হয়ে বারবার তাকাচ্ছে আর ভাবছে, এই লোকটি কাঁদছে কেন?
কিন্তু কেউ জানে না, এই লোকটি এভাবে কেন কাঁদছে! গভীর দু:খ থেকে নিঃসৃত যে কান্না, যে কান্না বুকে কষ্ট ব্যথাভরা অপ্রাপ্তির আর যন্ত্রণার। শুভর মোবাইল ফোনের প্লে লিস্টে কম ভলিউমে তখন বাজছে অহেতুকের গান, যে গান অব্যক্ত বেদনাদায়ক।
বিকাল হতেই কানে বেজে ওঠে
ছবি তোলার এক মধুর আজ
নবীন লেখকদের মহা লক্ষ্যে
মেঘলা সেই বিকাল বেলাতে।
হেলায় ফেলায় ছুটে গিয়ে
তথ্যকেন্দ্রের সিমাহীন আঙ্গিনায়
সাদা কাগজে লিখতে হলো
নতুন গ্রন্থের সেই নাম।
পিছু হটাতেই দেখা যায় তাকে
শ্যামবর্ণের এক লেখিকাকে
দাড়িয়ে আছে একটু বাক দিয়ে
ছড়ানো এলোমেলো বাহারি কেশে।
এরই মাঝে হৃদয় ছুয়েছে
তাহারি হৃদয় দিয়ে অজান্তে
ভাবনার মেঘলা আকাশে
ভাসিয়ে দিলো তথকেন্দ্রের আঙ্গিনাতে।
গিয়েছে সে হারিয়ে কবে কখন
বাংলা একাডেমির মসৃণ মেঝে
পাইনি তাকে খুঁজে কভু, তবু
বলেছিল “শোন, আমি আসছি” ভবে।
মেঘলা দিনের মেঘলা বিকাল
ফালগুনের এই দিনের শেষে
চেয়েছি আমি কৃঞ্চচুড়ার পর্বে
রাখিব স্মৃতিচরণ করে তোমায়
জনম জনম হৃদয়ের মন্দিরে
শুভ দোষীর শুভ ক্ষণের পরে তবে।
শুভ গিয়েছে শুভ সময় হারিয়ে
খুঁজে খুঁজে খুঁজে কখন তোমায়
পাওয়া যায়নি তাকে
বাংলা একাডেমির বৃহত্তর প্রাঙ্গণে।