ঈদে বাড়ি থেকে চিঠি
কাজী ইলিয়াছ
বছর শেষে ফিরে এলো,
রমজানের-এ-খুশির চাঁদ।
বউ বলেছে গয়না-শাড়ি,
কোন কিছু পরেনা-যেন
এ-রোজায় আমার বাদ।
মা-বলেেছ চাইনা খোকা,
সোনা-দানা হাজার টাকার শাড়ি।
তুমি খোকা ফিরে-এসো,
এ-ঈদে তারা-তারি বাড়ি।
বাবা- বলে ফিরে আসছি,
কোন বাধা নাই।
তার আগে কিছু টাকা,
আমায় দিয়ে নিস্।
বোন- বলে আসিব দাদা,
আস, ফিরে আস।
তোর জন্য বুনে রেখেছি,
মায়া-জালের শতো-শতো
রঙ্গীন সুঁতার শার্ট।
ভাই- বলে চাই আমার,
দামি একটি মোবাইল-
সাথে একখানা দামি শাঁল।
আমি প্রবাসি এখন ভেবে,
পাইনা-কী-করিবো কাল
এদের-যদি সব কিছু,
কিনে না দেই
সবার ফুলে থাকবে গাল।
এ-বছর ভালো নেই ভাই,
আমার পকেটের হাল।
অতীতগুলো ভুলে থাকিস
এস. আই. জীবন
ব্যর্থ চোখের অশ্রুকণা
দেখতে যদি নাহি পারিস,
ঘৃণা শেলের দৃষ্টি ধনুক
ধিক্কারে এ বুকে বিঁধিস।
কান্না-ধ্বনি বিস্বাদ সুরে
যায় যদি তোর কর্ণপথে,
মন্দা ভাষণ শুনিয়ে তারে
চড়িস তোর সখের রথে।
হয়বা যদি স্মরণ বিতান
নিকেতনের নন্দ সভা,
চোখের পরে চোখের নিদ্রা
অবুঝ মনে সবুজ আভা।
নতুন ধানের শীষ কুড়িয়ে
কাঁদার ভীতে বসত গড়া
কলাগাছের ভেলায় সাঁতার
উজান বিলে মৎস্য ধরা।
স্মৃতিগুলো কালের চাপায়
ক্ষুদ্র ভেবে কবর দিস।
সুপ্ত মনের গুপ্ত কথা
ভাবিস মনে তেতো বিষ।
পত্রে লেখা মিলন কথন
সন্ধ্যা দীপে পুড়িয়ে দিস,
নতুন ঠোঁটের মিষ্টি রসে
অতীতগুলো ভুলে থাকিস।