অন্যধারা সাহিত্য :
মুখোশধারী
লিখেছেন – খান রিফাত
ছলনাময়ী মানুষ গুলোকে বড্ড অচেনা লাগে। একটা সময়ের পর কেনো এরা মুখোশের বেড়াজাল টপকে সেই মুখোশ পরেই ঘুরে বেড়ায় আর আমরা কিছুই করতে পরি না। অবিবেচকের মতন শুধুই চেয়ে চেয়ে দেখি তাদের ছলনাময় সুন্দর অভিনয়। এরা তো পেশাদারী অভিনয় ও করতে পারে তাই না!
সম্পর্ক শুধুভাঙার জন্য নয় গড়ার জন্য আমরা এগিয়ে চলি, বেশ ভালোই চলে সময়ের সাথে সাথে আরো প্রকট হয়। দুটো মানুষ আরো কাছাকাছি আসে। একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠতে চায় তারপর একটা সময়ের পর ছলনার অভিনয়ের গতিটা বেশ বাড়িয়ে দেয় তখন একজন ভাবে কতো ভালোবাসে আমাকে। মানুষটা সত্যি খুব ভালো। এমন মানুষ হয়তো আমি জীবনে কখনো আর পাবোই না। একজন নারী ও একজন পুরুষ। একজন নরম মনের ও সরল হৃদয়ের অধিকারী। আর আরেকজন সেরা ছলনার অভিনয়ের অধিকারী।
দুজনের ভালোবাসা কি জিততে পারে?? কখনো কোনো ভাবে একজন কি তার ছলনার যে অভিনয় করে আনন্দ মজা করে করে সেটা কি চিরো দিনের মতো বন্ধ করে দিয়ে ছলনার অভিনয়ের তকমাটা গা থেকে মুছে দিয়ে মনকে সত্যিকারের ভালোবাসায় আবদ্ধ করতে পারে না?? আসলে এটা বোধায় কোনো ভাবেই সম্ভব নয়, তাঁরা তা যে ভাবে নিজেদের মনকে তৈরি করেছে সেই ভাবেই তারা তা তাদের ছলনার বশবর্তী হয়ে বাকি জীবন টাও ঐ ভাবেই কাটাতে চায় বোধায় সেটাই ওদের সত্যি কারের আসল ভালোবাসা। আর যে ঠিক তার বিপরীতে আছে, নরম হৃদয় ও তার কোমল অনুভূতি, সারল্য তার মনে, ভালোবাসায় পরিপূর্ণতা হৃদয়। সে কি জিতবে কখনো??
সারল্যময় ভারসেস ছলনার অধিকারী! তবে একটা সময় সারল্য তার সেই প্রিয় ভালোবাসার মানুষটির অভিনয় টা ধরে ফেলে, বিশেষ করে তার অপর মানুষ টির প্রতি ব্যবহার বলে দেয় যে এখানে বোধায় তার অভিনয় শেষ হলো এবার নতুন কোনো পথ খোঁজা শুরু।
এই পথ আর বেশিদিন স্থান দেবে না। নতুন পথে চলতে হবে। কারন সরলময় মানুষটির ইমোশনাল দিক গুলো ঐ মানুষ টির কাছে মূল্যহীন খেলাধূলার মতো। খেলা শেষ এখন আর সঙ্গে সঙ্গে তার ছলনার অভিনয়ের ও এখানে শেষ তাই সে নতুন পথের দিশা খুঁজছে।
ভালবাসা কি এতটাই নিষ্ঠূর! নাকি সেই অভিনয়কারী মানুষ টা নিষ্ঠূর! মনুষ্যেত্বর দিক থেকে কি সে মানুষ?? কে জানে! সেই মানুষ টির নিষ্ঠূরতা ঠিক তার বিপরীতে থাকা মানুষ টাকে কতটা কষ্টো, আঘাত দিতে পারে তার কোনো ধারণাই নেই। একটা সময় ছলনার যে আশ্রয় নিয়েছিল সে কোমল, সারল্যময় আবেগপ্রবণ মানুষ টিকে ছেড়ে বহু দূরে পালিয়ে গেলো।
সরল, নিষ্পাপ, সুন্দর মন কজনের থাকে বলুন!
যে খারাপ হয় হোক না, তাতে কোনো অসুবিধা নেই।
এতে করে মানুষ সঠিক মানুষকে চিনতে শিখবে কোনো ধাক্কা খাওয়ার আগে বুঝে নেবে। ভালোর সবসময় জয় অবধারিত। জীবনে ভুল মানুষ কে মন থেকে মুছে ফেলতে হবে। যে ভালো হতে জানে না সে হয়তো ছলনার অভিনয় করতেই বেশি ভালো পারে, কিন্তু আমরা সেই পথে না গিয়ে সঠিক মানুষের হাতটা শক্ত করে ধরতে কি পারি না??
দৈনিক অন্যধারা // এম.এইচ