মো. ইউসুফ আলী সরকার,
ঝিনাইগাতী: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা হাতিবান্দা ইউনিয়নের শতবছরের পুরনো একমাত্র মহাশ্মশানটি এবং শ্মশান কালির মন্দিরটি মালিঝি নদীতে ধসে পড়ার ভয়ে আতঙ্কিত গ্রামবাসী হাজার খানেক বাসিন্দা। উল্লেখ্য উপজেলার তিনানি বাজার সংলগ্ন হাতিবান্দা গ্রামে খডরস্রোতা পাহাড়ী মালিঝি নদীর পাড়ে প্রায় হাজার খানেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী কৈবর্ত সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। এক সময় তাদের একমাত্র পেশা ছিল নদীতে মাছ ধরা। কিন্তু এখন নদীতে আর মাছ নেই। তাই তারা পৈত্রিক পেশা ছেড়ে নানা পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। গ্রামটিতে শিক্ষার হার খুবই কম। দু’চারটি পরিবার ছাড়া প্রায় সকলেই গরিব মানুষ। অপরদিকে নদীর অপর পাড়েই বসবাস জেলার সবচেয়ে বড় ঠাকুর পরিবারের। তাদের প্রায় সকলেই উচ্চ শিক্ষিত এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। বাংলাদেশের সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর পৈত্রিক বাড়ি এটি। নদীর দুই পাড়ের চিত্র তাই সম্পুর্ন ভিন্ন। এই কৈবর্ত সম্প্রদায়ের এবং হাতিবান্দা ইউনিয়নের শত বছরের শ্মশানটি এই মালিঝি নদী পাড়ে অবস্থিত। সম্প্রতি এখানে একটি কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানে প্রতি শনিবার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আজও পর্যন্ত জুটেনি কোন সরকারী অনুদান। নেই যাতায়াতের জন্য রাস্তা। তার উপর ভাঙন কবলিত এই নদীতে একটি বালু মহাল রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে শ্মশান ও মন্দির কমিটির সভাপতি ডা: রতন চন্দ্র দাস, স্বজল চক্রবর্তী, তরু বালা রানী, সুকলাল দাস, খোকন চন্দ্র দাস ,সুজন সুবল দাস, বালু মহালের ইজারাদার ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনসহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, মন্দিরটি নদীতে ধসে পড়ার ভয়ে এলাকাবাসী আতঙ্কে আছেন। তাদের দাবি মন্দির সংস্কারের জন্য সরকারী অনুদান, একটি রাস্তা নির্মাণ এবং শ্মশান-মন্দির অংশে ড্রেজিং করে বালু না তুলার নিশ্চয়তা। ইজারাদার সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন তাদের দাবীর সাথে একমত হয়ে বলেন, তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালে এখানে কিছু মাটি ভরাটের কাজ করে দিয়েছিলেন। এলাকার বাসিন্দারা গরিব মানুষ। তাদের তেমন সামর্থ না থাকায় মন্দিরটি জরাজীর্ণ। তিনি সরকারী অনুদানের দাবি জানান। বার্তা প্রেরক: মো. ইউসুফ আলী সরকার ঝিনাইগাতী, শেরপুর। তারিখ: ১৪ আগষ্ট ২০২৩।
দৈনিক অন্যধারা/এইচ