অন্যধারা ডেস্ক :
আকাশপথে ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো ভাড়া কমালেও বাড়িয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ বিমান। এতে বিমানের যাত্রী কমার শঙ্কা করছেন এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার (১ মার্চ) থেকে আবারও সপ্তাহে তিনদিন ঢাকা-বরিশাল রুটে ফ্লাইট চালু করছে বেসরকারি এয়ারলাইনস নভো এয়ার। যার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ২৮০০ টাকা। ইউএস-বাংলা তাদের ৩৫০০ টাকার ভাড়া কমিয়ে ৩০০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। সেখানে উল্টো পথে হেঁটে ৩০০০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা বাড়িয়ে ৩২০০ টাকা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিমান।
ঢাকা-বরিশাল রুটের আকাশপথের নিয়মিত যাত্রী রিয়াজ খান বলেন, ‘যদি ২৮০০ টাকায় নভো এয়ার ও ৩০০০ টাকায় ইউএস-বাংলার টিকিট পাওয়া যায় তাহলে ৩২০০ টাকায় বিমানে যাবো কেন? তাছাড়া বিমান এখন সপ্তাহে তিনদিন যে ফ্লাইট পরিচালনা করে তা একরকম অসময়ে বলা চলে। তাদের প্রতিটি ফ্লাইট টাইম ঠিক দুপুরবেলা। ফলে ঢাকা যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে বিমানের ওপর নির্ভর করলে একদিকে যেমন পুরো দিনটাই নষ্ট হয়, তেমনি দুপুরবেলা ঢাকায় গিয়ে অফিস/আদালতের কাজকর্ম করাও সম্ভব হয় না।’
বরিশাল নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিমানের দৈনিক সার্ভিস যখন চালু ছিল তখন বরিশাল নগরী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনের একটি মাইক্রোবাস ছিল বিমানের। সপ্তাহে তিনদিন সার্ভিস চালুর পর সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা বিমানের একেবারেই যাত্রীবান্ধব সিদ্ধান্ত নয়। তার মধ্যে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুরোই অযৌক্তিক।’
নভো এয়ারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (মার্কেটিং-সেলস) আরেফিন ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইউএস-বাংলা ফ্লাইট চালাচ্ছে বিকেলে। বিমান ফ্লাইট চালাচ্ছে সপ্তাহে তিনদিন দুপুরে। জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, দাপ্তরিক প্রয়োজনসহ নানা কারণে দিনের প্রথমভাগে ঢাকাগামী যাত্রীদের বেশ বড় একটা চাপ থাকে বরিশালে। কিন্তু নিয়মিত ফ্লাইট না থাকায় এরা সড়কপথে ঢাকা যান। এসব দিক হিসাব করেই ঢাকা-বরিশাল রুটে ফিরছে নভো এয়ার। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে দৈনিক ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানের বরিশাল স্টেশন ম্যানেজার শহীদুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি একটি ব্যবসায়িক পলিসি। এটা সম্পূর্ণই বিমান কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রে যদি যাত্রী কমে তাহলে বিষয়টি বিমান কর্তৃপক্ষই বিবেচনা করবে।
খ.র // দৈনিক অন্যধারা