পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও ছয় দফা দাবি ‘সনাতন সমাজের’

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা ডেস্ক:

বাংলাদেশ একটি অস্প্রদায়িক দেশ। সম্প্রতি হিন্দু জনগোষ্ঠির উপর সাম্প্রদায়িক হামলা ও সহিংসতার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়েছে সনাতন ধর্মের কয়েকটি সংগঠন। এ জন্য তারা শনিবার (২০ নভেম্বর,২০২১) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় আরও কয়েকটি সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারসহ ছয় দফা দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনটির সদস্য কাঞ্চন আচার্য। সেখানে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-নির্যাতন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যে বিবৃতি দিয়েছে তা সহিংসতাকারীদের উৎসাহিত করেছে। সরকারের দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। তিনি আরও বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু জনগোষ্ঠির মন্দির পুনর্নিমাণের ঘোষণা দিয়েছেন সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি অপরাধীদের উৎসাহিত করছে।

ছয় দফা দাবিগুলো হল-
১. আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

২. ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনকে ব্যবহার করে কাউকে ঘায়েল করা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে।

৩. সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৪. ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মবিশ্বাস, দেবদেবী ও পূজা-অর্চনা নিয়ে বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যারা এ ধরনের অপপ্রচার করেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

৫. ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত মঠ-মন্দির, আশ্রম, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দেবালয়সমূহকে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে সেনাবাহিনীর দ্বারা পুনর্নিমাণ করে দিতে হবে।

৬. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং সংখ্যালঘু কমিশন-মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।

সাপ্তাহিক অন্যধারা//আর এম

- Advertisement -

আরো পড়ুুর