অন্যধারা ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে অনুসরণ করে আলোকিত জাতি গঠনে দেশবাসীকে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
স্পিকার বলেন, ব্যাপক সফলতা অর্জনের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির ফলেই স্বাধীনতার পর প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক করেছিলেন।
স্পিকার বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছিলেন। নারী-পুরুষের সমতা ও ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে তিনি আজ থেকে ৫০ বছর আগেই অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। তিনি ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেড় লাখ শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করেছিলেন। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো শক্ত না হওয়া সত্বেও শিক্ষাকে তিনি প্রাধান্য দিয়েছিলেন। তিনি কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ সরকার প্রভূত সাফল্য অর্জন করেছে। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার ওপর সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার উপরও সরকার বিবেচনা করছে । যা বাহাত্তরের সংবিধানে বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সরকার বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করে সরকার কারিগরি শিক্ষার উপর বেশ গুরুত্বারোপ করেন। প্রযুক্তিগত শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছেন। সরকার পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে ২৯ লাখ শিক্ষার্থীর খাবারের ব্যবস্থা করেছেন ।
সাপ্তাহিক অন্যধারা//আর এম
