বিএনপি কোনো গণতান্ত্রিক রাজনীতিক দল নয় মন্তব্য করলেন আজম নাছির

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা ডেস্ক :

বিএনপি কোনো গণতান্ত্রিক রাজনীতিক দল নয় বলে মন্তব্য করলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীন।

তিনি জানায়, তারা মুখে এক কথা বলে, অন্তরে ধারণ করে তার বিপরীত। তারা বুঝে গেছে যে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাদের এটা বোঝা উচিত সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতা পরিবর্তনে আর কোনো বিকল্প নেই।

গতকাল (২৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার) বিকেলে বিএনপি-জামায়াতের অরাজকতা, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।

আজম নাছির বক্তব্যে আরও যা বলেন, নির্বাচন অবশ্যই হবে, তা সাংবিধানিকভাবে এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এর বাইরে বিএনপির ক্ষমতা দখলের স্বপ্নের অর্থই হলো দেশে আরেকটি ১৫ আগস্টের মতো ট্র্যাজেডি ঘটানো, যা এখন আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কেননা এখন ১৯৭৫ সাল নয়, এখন ২০২৩ সাল। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ বদলে গেছে। অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অনেক উচ্চতায় উঠে গেছে। এ থেকে বাংলাদেশকে ধাক্কা দিয়ে পেছন দিকে ফেলে দেওয়া যাবে না। আমরা কোনো পাল্টা পাল্টি কর্মসূচি দিইনি। আমরা শান্তি ও শৃঙ্খলা চাই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা চাই। এ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে কোনো অপশক্তিকে রাজপথে নামতে দিতে পারি না। আমরা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে আছি, রাজপথেই থাকবো। কারণ আওয়ামী লীগের ঠিকানা শুধুমাত্র ক্ষমতা নয়, জনগণ এবং রাজপথই আওয়ামী লীগের মূল ঠিকানা ও ক্ষমতার উৎস। আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ১৪ বছর ক্ষমতায়। এসময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে খাদের কিনার থেকে তুলে এনে যে স্থানে উত্তীর্ণ করেছেন, তা আজ বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়। ১৪ বছর আগে বিএনপি বাংলাদেশকে কোন অবস্থায় রেখে গিয়েছিল সেদিকে যদি ফিরে তাকাতে হয় তাহলে অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই নেই। ওই সময়ে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বার বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার। তখন কোনো উন্নত দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী ছিল না। অথচ আজ দেশের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। আজ বাংলাদেশে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ সারাবিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে, বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিদ্যমান পরিস্থিতি তাদের জন্য অনুকূল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য যখন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তখন বিশ্বব্যাংক তহবিল জোগান দিতে নারাজ ছিল। বিশ্বব্যাংক সেদিন বলেছিল বাংলাদেশে কখনো পদ্মা সেতু নির্মাণ বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিয়েছেন এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে অসম্ভবকে সম্ভব সাধন করায় বিশ্বব্যাংক এখন বাংলাদেশকে ঋণ ও তহবিল জোগানে অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে।

দৈনিক অন্যধারা / ২৬-০২-২০২৩

- Advertisement -

আরো পড়ুুর