বিএনপি চাইলে পদত্যাগেও রাজি আছেন : সিইসি

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা ডেস্ক

নির্বাচনে সরকার সহযোগিতা না করলে দেশের পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে মনে করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপি চাইলে তিনি পদত্যাগ করতেও রাজি আছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপের প্রথম দিনে সিইসি এসব কথা বলেন।

আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের প্রথম দিনে, রোববার (১৭ জুলাই) জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা কর্মীদের সঙ্গে সংলাপে বসেন সিইসি। এনডিএমের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন সরকার এলে প্রয়োজনে পদ ছেড়ে দিতেও দ্বিধা করবেন না বলে জানান সিইসি।

তিনি আরও বলেন, যদি তার শর্ত হয়, নতুন নির্বাচন কমিশন অনেক যোগ্যতর লোকদের আনা হবে, সেটা আমাকে কিন্তু আহবান করতে হবে না। আমি চাই সম্প্রীতি, রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা, ঐকমত্য এবং সুন্দর একটা নির্বাচন আমাদেরকে দিয়ে না, যে কাউকে দিয়ে হবে। যে কাউকে দিয়ে করানোর জন্য যদি আমাকে এই পদ থেকে সরে যেতে হয়, এ জন্যে আমাকে রিকোয়েস্ট করতে হবে না। রিকোয়েস্ট করার আগেই আমি চলে যেতে পারব।

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা, ঐকমত্য খুবই দরকার। আমরা কালকেও দেখছি-একটা বড় ঐকমত্য একদিকে; আরেকদিকে সরকার। আমরা খুব বেদনাহত হই বক্তব্য গুলো যখন সাংঘর্ষিক হয়। আমরা চাচ্ছি বক্তব্য গুলো মিউচুয়ালি একোমোডেটেড হোক এবং সমঝোতার দিকে এগিয়ে যাক, যাতে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হয়। সিইসি বলেন, ইতিপূর্বে আমরা বহুবার বলেছি, যেসব রাজনৈতিক দল বিশেষত প্রধানতম দলগুলোর নির্বাচনে অংশ নেয়া খুবই প্রয়োজন। কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অবশ্যই বাধ্য করতে পারব না। তবে সব দলকে কার্যকর ভাবে অংশ গ্রহণ করতে আমরা বারবার আহবান করে যাব। সে প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, আজকেও আপনাদের মাধ্যমে সব দলকে আহবান জানাচ্ছি সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা না থাকলে জনমতের সঠিক প্রতিফলন হয় না। পক্ষ-প্রতিপক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সম্ভাব্য অনিয়ম, কারচুপি, দুর্নীতি, অর্থ শক্তির বৈভব, পেশি শক্তির প্রয়োগ ও প্রভাব বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।

সিইসি বলেন, সব দল সহযোগিতা না করলে আমরা সেখানে ব্যর্থ হয়ে যাব। আপনাদের সমন্বিত প্রয়াস থাকবে, কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, আপনাকে রাইফেল বা আরেকটি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনি যদি দৌড় দেন, তাহলে আমি কী করব? কাজেই আমরা সাহায্য করব। পুলিশের ওপর, সরকারের ওপর আমাদের কমান্ড থাকবে। সকালে এনডিএমের সঙ্গে এ বক্তব্য দিলেও বিকেলে সেই বক্তব্য সংশোধন করেন প্রধান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। বিকেলে তিনি বলেন, তলোয়ার-রাইফেল নিয়ে যুদ্ধ করবেন না।

বাংলাদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে সংলাপে বসে তিনি বলেন, যদিও নির্বাচন এক ধরনের যুদ্ধ। অনেকেই বলছেন, আসেন যুদ্ধের মাঠে আসেন। সেখানে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে হবে না। আপনাদের জনসমর্থন নিয়ে যুদ্ধ করতে হবে। আপনারা তলোয়ার, রাইফেল নিয়ে যুদ্ধ করবেন না। আপনাদের জনসমর্থন যারা আছে, তারা আসবে, তারা ব্যালট নিয়ে যুদ্ধ করবে।

রোববার সারাদিন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ কংগ্রেস ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)- এই চার দলকে সংলাপে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। এদের মধ্যে বিএমএল আসেনি বলে তিনি জানান।

দৈনিক অন্যধারা/ এইচ

- Advertisement -

আরো পড়ুুর