অন্যধারা ডেস্ক :
বাজার ভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেই ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়। তারা বলেন, দাম কমার পরও মাসের শেষ সময় হওয়ার ক্রেতাদের সংখ্যা কিছুটা কম। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাস আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০০ হতে ২৩০ টাকা। সেই হিসেব অনুযায়ী গত এক মাসে ব্রয়লারের দাম কমেছে ৬.৯৮ শতাংশ। ঠিক এক বছর আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।
আজ (৩১ মার্চ, শুক্রবার) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। পাশাপাশি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৩০ টাকায়। তবে সাইজে বড় সোনালী মুরগি প্রতি কেজিতে ৩৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে লাল ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আগের মতোই গরু মাংস বাড়তি দামে ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস মান ভেদে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি বিক্রেতা খোরশেদ আলম জানায়, ব্রয়লারের উচ্চ দামের কারণে হঠাৎ ক্রেতার সংখ্যা কমে গিয়েছিল। কারণ বেশি দাম দিয়ে সাধারণ ক্রেতারা কিনতে পারে না। তবুও রমজান মাস শুরুর কারণে ব্রয়লার মানুষ কিনেছিল। এখন দাম কমে গেছে তবুও দোকানগুলো অনেকটাই ফাঁকা। কারণ বাড়তি দামের সময় ক্রেতারা ব্রয়লার কেনা কমিয়েছিল, এরই ধারাবাহিকতায় এখন মাসের শেষ সময় হওয়ায় ক্রেতার সংখ্যা অনেকটা কম।
একই বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, উচ্চ দামের কারণে আমরা সাধারণ মানুষ ব্রয়লার ছাড়া অন্যান্য মুরগি কিনতে পারির না। এর মধ্যেও ব্রয়লারের দাম বেড়ে সর্বোচ্চ দামে উঠেছিল। সে সময় যাদের খুব প্রয়োজন ছিল তারা ছাড়া বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ বাড়তি দামে ব্রয়লার কেনা কমিয়ে দিয়েছিল। এখন কিছুটা দাম কমছে, তারপরও দেখলাম ব্রয়লারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের তেমন ভিড় নেই। মাসের শেষে হাতে টাকা কম থাকায় আমিও আজ ব্রয়লার কিনলাম না। নতুন মাস শুরু হলে, বেতন হলে তখন কিনব।
দৈনিক অন্যধারা / ৩১-০৩-২০২৩