অন্যধারা ডেস্ক:
বাংলা একাডেমির সভাপতি, সাবেক মহাপরিচালক ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে আনা হয়।
বুধবার(১ ডিসেম্বর,২০২১) দুপুরে রফিকুল ইসলামের মরদেহ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আনা হয়। পরে একাডেমির নজরুল মঞ্চে তার মরদেহ রাখা হলে বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষ কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদার নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলা একাডেমি পরিবার। এ সময় একাডেমির পরিচালক, উপপরিচালক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো আবুল মনসুর। কবি কাজী নজরুল ইনিস্টিটিউট, শালুক, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, স্বাধীনতা ফাউন্ডেশন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন ও বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সবশেষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কলকাতার কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোনালিসা দাস।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোনালিসা দাস বলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন নজরুল গবেষণা সেন্টার তৈরি হয় তখনই রফিকুল ইসলাম স্যার এবং আনিসুজ্জামান স্যার পথিকৃৎ হয়ে নজরুল বিষয়ক গবেষণাকে কেন্দ্র করে গবেষণাগার তৈরি করে দেন।
মোনালিসা দাস বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রফিকুল ইসলাম স্যারকে সম্মান সূচক ডি লিট ডিগ্রি দেওয়ার কথা। কিন্তু যে বছর দেওয়ার কথা ছিলো তার পরের বছর করোনা দেখা দিল। এ জন্য আমরা এখনো দিতে পারিনি। কিন্তু আমরা রফিকুল ইসলাম স্যারকে সম্মান সূচক ডি লিট ডিগ্রি দিব সে পরিকল্পনা আমাদের আছে।
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম স্যার সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তার কথা থেকে উঠে আসে তিনি ছিলেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের একজন অসাধারণ গবেষক। মহান ভাষা-আন্দোলনে তার ভূমিকা ঐতিহাসিক। ভাষা-আন্দোলনের বহু মূল্যবান আলোকচিত্র তার ক্যামেরায় ধারণ করা আছে। বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণ চর্চা, ঢাকার ইতিহাস রচনা, মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা, নজরুল গবেষণা এবং বঙ্গবন্ধু-চর্চায় তার ভূমিকা অনন্য। বাংলা একাডেমি প্রণীত ও প্রকাশিত প্রমিত বাংলাভাষার ব্যাকরণের তিনি ছিলেন অন্যতম সম্পাদক। বাংলা একাডেমি পরিবারের তিনি ছিলেন একান্ত আপনজন। বাংলা একাডেমির সার্বিক উন্নয়নে রফিকুল ইসলাম স্যার অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন ।
সাপ্তাহিক অন্যধারা//আর এম