ছবি: মীর আফসার আলী তার ফেসবুক পোস্টে শেয়ার করেছেন।
মীরাক্কেল সঞ্চালনার মাধ্যমে মীর আফসার আলী পশ্চিমবঙ্গের মতো বাংলাদেশেও জনপ্রিয়। টানা কয়েক বছর তিনি মীরাক্কেল সঞ্চালনা করেছেন। তবে টিভির আগে রেডিও জকি হিসেবে মীর পরিচিতি পান। ২৭ বছর ধরে আরজে হিসেবে কলকাতার এফএম রেডিও মির্চিতে কাজ করেছেন। দীর্ঘদিনের এই সম্পর্ক শেষ হয়েছে। রেডিও মির্চি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মীর।
হ্যাশট্যাগ শুধু ‘সকালম্যান’-এর নাম নিয়েছেন মীর! ‘সানডে সাসপেন্স’-এর নাম নেননি। মীর আর এই শো করবেন না বলে আশঙ্কা করছেন অনেক ভক্তরা। মীরের ‘গল্পের পরবর্তী অংশ বিরতির পর।’ লাইনটি জল্পনা উসকে দিয়েছে। মীরের কণ্ঠ হয়তো নতুন কোনো রেডিও স্টেশনে শোনা যাবে বলে অনেকে মনে করছেন।
‘সকালম্যান’ হিসেবে মীর কলকাতা শহরের শ্রোতাদের কাছে পরিচিত ছিলেন। ১৯৯৪ সালের ৬ আগস্ট থেকে মীরের ‘সুপ্রভাত’ শুনে ঘুম ভাঙত কলকাতাবাসীর।
মীরের এই পোস্টের পর থেকে অনুরাগীরা তাঁকে একাধিক প্রশ্ন করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘মীর ছাড়া মির্চি… ভাবাই যায় না।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘তুমি ছেড়ে দিলে। আমরা জানতেও পারলাম না যে শেষ শোটা বিশেষভাবে শুনব। রেডিওতে থাকছ, এটা ভালো। কিন্তু মির্চি-মীর যেভাবে একাকার হয়ে গিয়েছিল ২০ বছর ধরে, সেই রেশ কাটানো খুবই মুশকিল হবে। যেখানেই রেডিওতে যাও, রেডিওতে থেকো। আমরা শোনার জন্য সব সময় রেডি-ও।’
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে রেডিওর পর প্রথম টেলিভিশনের দর্শকরা মীরকে দেখতে পান ডিডি বাংলা চ্যানেলের নিউজ প্রোগ্রাম ‘খাস খবর’-এর মাধ্যমে। এরপরে ‘হাউ মাউ খাউ’, ‘বেটা বেটির ব্যাটল’, ‘মীরাক্কেল’ সঞ্চালনা করেছেন মীর। তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি সংগীতচর্চা করেন। তাঁর নিজস্ব একটা গানের দলও রয়েছে। এ ছাড়া ইউটিউবে ফুড ভ্লগিং শুরু করেছেন কয়েক বছর ধরে। চলতি বছরে তিনি বাংলাদেশ থেকেও ঘুরে গেছেন ‘ফুডকা’ নামের শো’র জন্য।
দৈনিক অন্যধারা / ০১ জুলাই ২০২২ / জ কা তা
