আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রবিবার সকালে রাবার বাগানে কাজ করতে বের হয়েছিলেন ৫০ বছর বয়সী নারী জাহরাহ। কিন্তু রাতে কাজ থেকে না ফেরায় নিখোঁজ বলে সন্দেহ করা হয় এবং খোঁজ পেতে তল্লাশী চালানো হয়। একদিন পর গ্রামবাসীরা একটি অজগর দেখতে পান, যার পাকস্থলী বিশাল। পরে স্থানীয়রা সাপটিকে হত্যা করেন এবং সাপের পেটে নারীর মরদেহ খুঁজে পান।
বেতারা জাম্বি পুলিশ প্রধান একেপি এস হারেফা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, সাপের পাকস্থলীতে নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। উদ্ধারের সময় মরদেহ পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় ছিল।
তিনি জানান, মৃতের স্বামী রবিবার রাতে তার কিছু পোশাক ও যন্ত্রপাতি খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দিয়ে ওই নারী রাবার বাগানে কাজ করতেন। এগুলো পাওয়ার পর তার খোঁজে তল্লাশী শুরু হয়। সোমবার ১৬ ফুট দীর্ঘ সাপটিকে দেখতে পান গ্রামবাসীরা। তারা সাপটিকে ধরার পর হত্যা করে। গ্রামবাসীরা সাপের পেট কাটার পর সেখান থেকে জাহরাহের মরদেহ বেরিয়ে আসে।
এমন ঘটনা বিরল হলেও ইন্দোনেশিয়ায় এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও অজগর কর্তৃক মানুষকে হত্যার পর খেয়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এমন দুটি ঘটনার খবর জানা গেছে। অজগর তাদের খাবার পুরোটাই গিলে ফেলে। তাদের চোয়ালের পেশী খুব নমনীয়। ফলে তারা বড় শিকার গিলে ফেলতে এগুলো প্রসারিত করতে পারে।
এক বিশেষজ্ঞ অতীতে বিবিসিকে বলেছিলেন, অজগর সাধারণ ইঁদুর ও অন্যান্য প্রাণীকে খেয়ে থাকে। কিন্তু এক পর্যায়ে তারা নির্দিষ্ট আকারে পৌঁছে গেলে তারা আর ইঁদুর খায় না। কারণ ইঁদুর খেয়ে তাদের ক্যালোরির প্রয়োজনীয়তা পূরণ হয় না।
ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভস সিঙ্গাপুরের কর্মকর্তা ম্যারি-রুথ ল বলেন, কার্যত তারা যত সম্ভব বড় শিকারের খোঁজ করে। এসব শিকারের মধ্যে রয়েছে শুকর বা এমনকি গরুও।
দৈনিক অন্যধারা/২৬-১০-২০২২ইং