ছবি: দাই দাউ করে জ্বলছে ব্যবসায়ীর গাড়ি। (সংগৃহীত)
ফাঁকা রাস্তায় গাড়িতে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। ভিতরে এক ব্যক্তির পোড়া মরদেহ। কিছু দূরেই আধা পোড়া অবস্থায় এক নারী এবং এক যুবক পড়ে আছে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেলে এমন একটি দৃশ্য দেখে পথচারিরা শিউরে উঠেছিলেন। তারাই পুলিশ ও দমকলে খবর পাঠান।
পুলিশ জানিয়েছে, আগুনে পুড়ে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির নাম রামরাজ ভাট, বয়স ৫৮ বছর। উদ্ধারকৃত নারী এবং যুবক হলেন ওই মৃত ব্যক্তির স্ত্রী নন্দিতা এবং ছেলে নন্দন। এই দুজনেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত রামরাজ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েন তিনি। সেই ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রামরাজ তার পরিবারকে নিয়েই পরিকল্পিত ভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন । তিনি ভারতের নাগপুরের বাসিন্দা।
দুপুরে হোটেলে একসঙ্গে খাওয়ার কথা বলে স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করেই রওয়ানা হন রামরাজ। কিন্তু হোটেলে না গিয়ে মাঝপথেই এক ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি থামান। তখনও গাড়ি থামানোর কারণ বুঝতে পারেননি রামরাজের স্ত্রী এবং ছেলে। এরপরই গাড়িতে পেট্রোল ঢালতে শুরু করেন। তারপর স্ত্রী-ছেলেসহ নিজের গায়েও পেট্রল ঢালেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়িসহ নিজেদের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রাস্তায় থামানো গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। তারপরই গাড়ির দরজা খুলে দুজন আরোহী দরজা খুলে কোনো রকমে বেরিয়ে আসেন। নিজেরাই গায়ের আগুন নেভান। পুলিশ তাদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে রামরাজের বাড়ি থেকে। সেই নোটে দেনায় জর্জরিত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন রামরাজ।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
দৈনিক অন্যধারা/২০ জুলাই ২০২২/জ কা তা