অন্যধারা ডেস্ক:
অসহযোগিতা ও অসদাচারণের অভিযোগে নবাগতা অভিনেত্রী জেবা জান্নাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ তথ্য জানায়। এবার এই নিষিদ্ধ ঘোষণা নিয়ে কথা বললেন জেবা।
নবাগতা এই অভিনেত্রী জানালেন, রাশেদা আক্তার লাজুকের স্বামী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদলু কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন তাকে। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণেই তার পিছু লেগেছেন তারা। এছাড়া এ ঘটনা এক বছর আগের। কিন্তু কেন এখন তা সামনে আনা হলো তাও বুঝতে পারছেন না জেবা।
অভিনেত্রী বলেন, বুঝতেছি না কেন নিষিদ্ধ হলাম আমি। স্পষ্টভাবে আমাকে নিষিদ্ধ করার কারণও জানায়নি। আমি নতুন এসেছি বলেই কি আমাকে নিষিদ্ধ করল তারা, আর আমি নিষিদ্ধ হয়ে গেলাম।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনা এক বছর আগের। কিন্তু এখন কেন এ ঘটনা সামনে আনলেন। সেই সময় পরিচালক দোদলুর কয়েকটি কাজ করেছি। তারপর তার স্ত্রী লাজুক ভাবির একটি সিরিয়ালে কাজের কথা বলা হয় আমাকে। আমি কাজটি করতে রাজি হই। কাজটি করতে গিয়ে কিছু সমস্যার মুখে পড়ি। যেমন, অনেক রাত পর্যন্ত শুটিং করলেও আমাকে কোনো ট্রান্সপোর্ট দিতেন না। তখন নিয়ম ছিল রাত ১১টার পর শুটিং করা যাবে না।
জেবা বলেন, এরপরও গভীর রাত পর্যন্ত তারা শুটিং করাতেন। তারা চাইলে শুটিং সন্ধ্যারাতেও করতে পারতেন। যাইহোক, শুরুতে কয়েকদিন আমি কাজটি করলেও ট্রান্সপোর্ট সমস্যার জন্য তাদের বলি, কাজটি আমি আর করতে পারব না। তারপর দু-তিন দিন শুটিংয়ে যাইনি। এরপর তারা আমাকে বুঝিয়ে ফের শুটিংয়ে ফেরান এই বলে যে, আমাকে দ্রুত ছেড়ে দেবেন। কিন্তু সেই কথা রাখেননি তারা।
তিনি আরও বলেন, শেষ দিকে একদিন আমার একটি দৃশ্য বাকি ছিল। কিন্তু তারা ট্রান্সপোর্ট পাঠায়নি বলে যেতে পারিনি আমি। এ কারণে আমাকে তারা থ্রেট দেন যে, মিডিয়াতে আমার কাজ করা বন্ধ করে দেবেন তারা। এ কারণে তাদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দেই আমি।
জেবা বলেন, সেই ঘটনার পর একদিন লাজুক ভাবির স্বামী আমাকে ফোন করে বলেন, তার সঙ্গে যদি আমি ফ্রেন্ডশিপ বা প্রেম করি তাহলে সব কিছু ঠিক করে দেবেন। তো তার হাজব্যান্ড যে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন তা অ্যাকসেপ্ট করিনি আমি। এরপর থেকেই তারা হাজব্যান্ড-ওয়াইফ একসঙ্গে আমার পেছনে লেগেছেন।
এ নবাগতা বলেন, কেবল আমার সঙ্গে নয়, আরও অনেকের সঙ্গেই তারা এমন করেছেন। কিন্তু আমি প্রতিবাদ করেছি বলে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন।
ডি.ও // র হ খ