খোলা জায়গায় মলত্যাগে শীর্ষে রংপুর বিভাগ

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা ডেস্ক:

দেশের সকল বিভাগের মধ্যে রংপুর বিভাগের মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করেন বা তাদের টয়লেট নেই। ল্যাট্রিন নেই এমন মানুষের সংখ্যা রংপুর বিভাগে বেশি। জনশুমারি ২০২২ এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বুধবার (২৭ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়নকৃত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

গত ১৫ জুন একযোগে সারাদেশে জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম শুরু হয়। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্ত চলে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশে ৭ কোটি ১৫ লাখ জনসংখ্যা ছিল। ১৯৮১ সালে জনশুমারিতে জনসংখ্যা বেড়ে ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জনে উন্নীত হয়। ১৯৯১ সালে জনশুমারি অনুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ। ২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারি ও গৃহগণনায় জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ২৪ লাখে। ২০১১ সালে পঞ্চম জনশুমারিতে ১৪ কোটি ৪০ লাখ জন। এরপরে ২০২২ সালে ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনায় বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।

জনশুমারির তথ্য ঘেঁটে পাওয়া গেছে, রংপুর বিভাগে শতকরা ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করেন বা ল্যাট্রিন নেই। ফ্লাশ করে কিংবা পানি ঢেলে নিরাপদ নিষ্কাশন করেন ৪৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এদিক থেকে রংপুর বিভাগের চেয়ে ময়মনসিংহ ও বরিশাল অনেকটা ভালো অবস্থানে রয়েছে।

অপরদিকে স্ল্যাবসহ পিট ল্যাট্টিন, ভেন্টিলেটেড ইমপ্রুভড ল্যাট্রিন বা কম্পোস্টিং ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন ২৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। স্ল্যাব ছাড়া পিট ল্যাট্রিন বা উন্মুক্ত পিট ব্যবহার করেন ৪ দশমিক শূন্য ২১ শতাংশ। কাঁচা/খোলা/ঝুলন্ত ল্যাট্রিন অস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে ব্যবহার করেন ৮ দশমিক শূন্য ৬৪ শতাংশ, এদিক থেকে সিলেটের চেয়ে উন্নত বিভাগটি।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।

দৈনিক অন্যধারা/২৭ জুলাই ২০২২/জ কা তা

- Advertisement -

আরো পড়ুুর