টানা বৃষ্টিতে ডুবেছে বন্দরনগরী

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা প্রতিবেদক:

টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নিচু এলাকা। এতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে রাস্তাঘাট হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে ডুবে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

তবে টানা বৃষ্টির দুর্ভোগের মধ্যে সুসংবাদ দিয়েছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস। বলেছে, আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল থেকে বৃষ্টি কমে আসবে। টানা বৃষ্টি পড়বে না। দেখা মিলবে সূর্যের।

জলাবদ্ধতার কারণে বৃহস্পতিবার সকালে অফিসগামী এবং নানা প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজনকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাজেশ চক্রবর্তী নামে নগরীর দিদার মার্কেট এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নগরীর বহদ্দারহাট, কাতালগঞ্জ, মুরাদপুর ও চকবাজারে পানি উঠেছে। মুরাদপুরে গলাসমান পানি জমেছে। কাতালগঞ্জে ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ অনেক এলাকায় হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি জমেছে। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কাতালগঞ্জে নৌকা চলতে দেখা গেছে। কাতালগঞ্জের অনেক বাসিন্দা নৌকায় বাসা থেকে মূল সড়কে আসা-যাওয়া করছেন।

সড়কের ওপর কোমরসমান পানি থাকার কারণে মুরাদপুর বহদ্দারহাট সড়ক, চকবাজার মুরাদপুর সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল সকাল থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সড়কের উভয় পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল বারেক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে বৃষ্টি কমে আসবে। টানা বৃষ্টি পড়বে না। তবে থেমে থেমে বৃষ্টি পড়বে আরও তিন দিন। এরপর সূর্যের দেখা মিলবে বলে আশা করা যায়।’

এদিকে, গত দুই দিন ধরে জেলার সীতাকুণ্ড, মীরসরাই এবং ফটিকছড়িতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এ তিন উপজেলায় কমপক্ষে এক লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

অন্যধারা/২২/০৮/২০২৪

- Advertisement -

আরো পড়ুুর