বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ প্রতিবেদন অনুযায়ী জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর ভিতরে পুরুষ ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় এ ফলাফল পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়নকৃত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশে ৭ কোটি ১৫ লাখ জনসংখ্যা ছিল। ১৯৮১ সালে জনশুমারিতে জনসংখ্যা বেড়ে ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জনে উন্নীত হয়। ১৯৯১ সালে জনশুমারি অনুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ। ২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারি ও গৃহগণনায় জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ২৪ লাখে। ২০১১ সালে পঞ্চম জনশুমারিতে ১৪ কোটি ৪০ লাখ জন। এরপরে ২০২২ সালে ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনায় বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।
বিবিএস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, দেশে মোট তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ, যা বিগত এক দশক আগেও ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা ঘনত্বের হার ১ হাজার ১১৯ জন যা পূর্বে ছিল ৯৭৬ জন। এছাড়া ৯৮ জন পুরুষের বিপরীতে নারীর সংখ্যা ১০০ জন। ১০ থেকে তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৮ শতাংশ অবিবাহিত এবং বিবাহিত ৬৫ শতাংশ। মোট জনংখ্যার ৯১ দশমিক ০৪ শতাংশ মুসলিম, হিন্দু ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দেশে মোট সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এছাড়া প্রতিবন্ধিতার হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এছাড়াও বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দেশে মোট খানার সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ৫১টি। গড়ে খানার আকার ৪ জন, এক দশক আগে যা ছিল সাড়ে ৪ জন।
বিবিএস প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৭ জন গ্রামে বাস করেন এবং ৫ কোটি ২০ লাখ নয় হাজার ৭২ জন শহরে বসবাস করেন। জনসংখ্যার গড় বার্ষিক বৃদ্ধি ১ দশমিক ২২ শতাংশ। গত শুমারিতে ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব এক হাজার ১১৯ জন। ২০১১ সালে ছিল ৯৭৬ জন। বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নারী জনগোষ্ঠীর এ হার ৭২ দশমিক ৮২ শতাংশ।
দৈনিক অন্যধারা/২৭ জুলাই ২০২২/জ কা তা