স্পোর্টস ডেস্ক
সেমিফাইনাল প্রথম ম্যাচ, শেষ ওভার পর্যন্ত খেলাতে হল পাকিস্তানি দলের। তবে সেটা পাকিস্তানি ব্যাটারদের কিছু ভুলের কারণে। নয়তো বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান যেভাবে রান তাড়ায় ছুটেছেন, নিউজিল্যান্ডের আসলে তেমন কিছু করারই ছিল না।
শেষদিকে কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা আশা পেলো নিউজিল্যান্ড। তবে পাকিস্তানের বড় জয় আটকাতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে হারিয়ে বাবর আজমরা নাম লিখিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে।
তবে, টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। শুরুটাই ভালো ছিল। ইনিংসের তৃতীয় বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি এলবিডব্লিউ করেন ফিন অ্যালেনকে ৩ বলে ৪ রান। দেখেশুনে খেলতে থাকা ডেভন কনওয়ে ২০ বলে ২১ রান করে শাদাব খানের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন। পাওয়ার প্লেতে তারা একদমই সুবিধা করতে পারেনি। ২ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে মাত্র ৩৮ রান। অষ্টম ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজ ফিরতি ক্যাচ বানান গ্লেন ফিলিপসকে ৮ বলে ৬ রান।
সেখান থেকে কেন উইলিয়ামসন আর ড্যারেল মিচেলের ৫০ বলে ৬৮ রানের জুটি। ৪২ বলে ৪৬ রান করে উইলয়ামসন বোল্ড হন শাহিন আফ্রিদির বলে। তবে ড্যারেল মিচেল একদম ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। ৩৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১২ বলে ১৬ রান করেন জেমস নিশাম। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২৪ রানে তিনি নেন ২টি উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের দেয়ায় ১৫৩ রানের বাটিং নামে পাকিস্তান। পাকিস্তানি দুই ওপেনার বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে পাকিস্তান বিনা উইকেটেই তুলে ফেলে ৫৫ রান। বাবর-রিজওয়ানের সেই জুটি টিকেছে ৭৬ বলে ১০৫ রান পর্যন্ত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাবর-রিজওয়ানের এটি ছিল তৃতীয় শতরানের জুটি। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এতবার কোনো জুটি শতরান পূর্ণ করতে পারেনি।
তাদের জুটিটি অবশেষে ভাঙে ১৩তম ওভারে। বোল্টকে তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান বাবর ৪২ বলে ৫৩ রান। শেষের দিকে আউট হন রিজওয়ানও ৪৩ বলে ৫৭ রান। ইনিংসের এক ওভার বাকি থাকতে মোহাম্মদ হারিস ২৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন। তবে পাকিস্তান তখন জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে। শান মাসুদ ৪ বলে ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
ম্যন অব দ্য ম্যাচ হন মোহাম্মদ রিজওয়ান
দৈনিক অন্যধারা/0৯-১১-২০২২