প্রতিটি আঘাতের সমান জবাব দেওয়া হবে : রিজভী

- Advertisement -
- Advertisement -

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে তাণ্ডব চালাচ্ছে সরকার। কিন্তু নিউটনের তৃতীয় সূত্র মনে রাখবেন। প্রতিটি আঘাতের সমান ও বিপরীত জবাব দেওয়া হবে। কাউকে গ্রেপ্তার করে বিএনপির আন্দোলন ঠেকানো যাবে না বলে তিনি জানান। তারা সবাই আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির মহাসমাবেশ সফল করবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনের মুক্তি দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।

রিজভী বলেন, এই অবৈধ সরকারের একজন মন্ত্রী যিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উনি প্রতিদিন বলেন খেলা হবে। এটা তো ফিউচার টেন্সে বলেছে, প্রেজেন্ট টেন্সে বলবে না খেলা চলছে। আপনি কামরুজ্জামান রতনকে গ্রেপ্তার করেছেন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা কামালকে গ্রেপ্তার করেছেন। এটা কি খেলার অংশ না? সারা দেশে সমাবেশ যাতে না হয়, তার জন্য অনেককেই গ্রেপ্তার করেছে। এটা কি খেলার অংশ? বিএনপির সমাবেশের দুদিন আগে বাস মালিক ধর্মঘট ডাকে, এটাও তো আপনার খেলার অংশ। কারণ, আপনার নির্দেশ ছাড়া এই বাস মালিক সমিতির ধর্মঘট ডাকার কথা না। বিএনপির সমাবেশ শেষে তাদের ধর্মঘটও শেষ হয়—এটা তো ওবায়দুল কাদের ও শেখ হাসিনার খেলার অংশ বলে রিজভী জানান।

 

তিনি বলেন, খেলা দেখাচ্ছে জাতীয় অর্থনীতি নিয়ে। বিদ্যুতের নাকি বন্যা বয়ে গেছে। হাইওয়ে, বড় বড় ফ্লাইওভার উন্নয়নে গোটা দেশ ছড়িয়ে গেছে। দেশের মানুষের আয় বেড়েছে ২১৩৪ ডলার। আবার প্রধানমন্ত্রী একবার বলছে দুর্ভিক্ষ হবে, আবার বলছে হবে না। এই যে অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী। মানুষের প্রতি এত আয় বেড়ে থাকে তাহলে দুর্ভিক্ষ হবে কেন? কিন্তু দুর্ভিক্ষ চলছে। সরকারি চাল ৩০ টাকা কেজি যে ট্রাকগুলোতে দেবে, সেই ট্রাকগুলোর পেছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ দাঁড়িয়ে থাকছে চালের জন্য। এটাই তো দুর্ভিক্ষের আলামত। ওবায়দুল কাদের ফিউচার টেন্সে বলেন খেলা হবে। কিন্তু খেলা তো চলছে মানুষের আহার নিয়ে, খাদ্য নিয়ে, ভোগান্তি নিয়ে। এসব দেশের জনগণ দেখছে, এর হিসাব কিন্তু আপনাকে একদিন দিতে হবে।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ বলে রিজার্ভে নাকি এখনো ৩৫ বিলিয়ন ডলার আছে। আইএমএফ বাংলাদেশ ব্যাংককে বলল হিসাব দিতে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলল, ২৪ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে। আওয়ামী লীগ বলে, ৩৫ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ২৪ বিলিয়ন ডলার। হঠাৎ করে কমে গেল কেন? বাতাসে অনেক কথা বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃত রিজার্ভ তার চেয়েও কম। রাজকোষ শূন্য অবস্থায় এসে পড়েছে। আওয়ামী লীগ বলছে ৩৫ বিলিয়ন, বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে ২৪ বিলিয়ন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর তো আপনাদেরই লোক। যেই আইএমএফ জানতে চেয়েছে, তখনই রিজার্ভ কমে গেছে। এ দেশের পরিস্থিতি খুবই ভয়ংকর অবস্থায় আছে।

 

তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্যাংকে কোনো টাকা-পয়সা নেই। সব শূন্য অবস্থায়। আওয়ামী লীগ কত লুটপাট করেছে যে আজ খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। আর বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে, তখন ঋণ খেলাপ ছিল শুধু চার হাজার কয়েকশ কোটি টাকা। এই ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি হয়েছে, এই টাকা কে নিয়েছে! এই টাকা সব আওয়ামী লীগ নিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা, আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজন নিয়েছে। আজ বলছেন, ব্যাংকের টাকা শেষ হয়ে আসছে। দেশের ঋণখেলাপি কে কে, তার জন্য একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যারা যারা ঋণখেলাপি, তারাই সেই কমিটির সদস্য বলে তিনি জানান।

দৈনিক অন্যধারা/ এইচ
- Advertisement -

আরো পড়ুুর