প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশে সেটা আর রাখা সম্ভব হয়নি। এমনই এক মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তিকরণ প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আমু বলেন, চিরকালীন অভ্যাসের কারণে তারা নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে না। ইভিএমের বিরুদ্ধে কারও কোনো অভিযোগ নেই। আমার জানামতে ইভিএমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ইভিএমের বিরোধিতা করে বিএনপি পানি ঘোলা করতে চাইছে।
আওয়ামী লীগ তথা ১৪ দল নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এ বর্ষিয়ান নেতা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ধারাবাহিক সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন। রোববার (৩১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে বিকেল ৩টায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয় ইসির সংলাপে।
সংলাপ শেষে আমির হোসেন আমু অতীতের নির্বাচনগুলোতে বিএনপির ভূমিকা প্রসঙ্গে বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতিসংঘ বাংলাদেশে এসেছিল তাদের (বিএনপি) আহ্বানে। তাদের সঙ্গে এবং আমাদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে পৃথকভাবে জাতিসংঘ বসেছিল। এরপর দুই দলকে নিয়েই বসেছিল। কিন্তু বিএনপি কোনো যুক্তি খণ্ডাতে পারেনি। জাতিসংঘসহ আমরা তখন বিএনপিকে বলেছিলাম, সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচনটা করতে হবে। আমরা এও বলেছিলাম, বিএনপি নির্বাচনে এলে প্রয়োজনে ছয় মাস পর আরেকটা নির্বাচন আয়োজন করা হবে। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ওই সময় খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ফোন করেছিলেন। প্রথমে ফোন রিসিভ করেননি খালেদা জিয়া। সন্ধ্যার পর রিসিভ করলেও বলেন, ‘আমরা কোনো আলোচনায় যাবো না’। খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, ‘আপনারা যতগুলো মন্ত্রী রাখতে চান সবগুলো রাখা হবে’। জবাবে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘আমার হরতাল প্রোগ্রাম আছে, আলোচনায় বসতে পারবো না’।
আমু আরও বলেন, অযৌক্তিকভাবে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। নির্বাচন অনুষ্ঠানটা কমিশন করবে, সেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আসার দাবি তো করা যায় না। সেটা তো ভিন্ন বিষয়।
দৈনিক অন্যধারা/৩১ জুলাই ২০২২/জ কা তা
