ফরিদগঞ্জে পানির অভাবে চলতি মৌসুমে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা

- Advertisement -
- Advertisement -

 শাখাওয়াত হোসেন মিন্টু

খালের মধ্যে কালভার্ট নিমার্ণের জন্য বাঁধ দেয়ার কারণে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের চারা রোপন করলেও তাতে পানি দিতে না পারায় ধান ক্ষেতের মাটি ফেঁটে চৌঁচির। এই অবস্থা চলতে থাকলে কৃষকদের মাথায় বাজ পড়ার অবস্থা হবে। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ১৫ নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বদরপুর, ভাটেরহৃদ ও রুস্তুমপুর এবং ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমুঘুয়া এলাকার । ওই কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২৫০০একর ধানের জমি পানির অভাবে ফেটে চৌঁচির। চারা রোপণের পর এক মাস অতিবাহিত হলেও ক্ষেতে পানি দিতে পারছে না কৃষকরা। তারা মনে করে এমন অবস্থা থাকলে প্রায় কোটি টাকার ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কৃষকরা বাধ্য হয়ে গতকাল সোমবার (২১মার্চ) সকালে রূপসা উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের  জুয়েল হোসেন, ইয়াছিন, দেলোয়ার, বাচ্চু মিজি, জাহাঙ্গীরসহ প্রায় ৫০ জন কৃষক এই দুরাবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেন। কৃষক জুয়েল হোসেন বলেন, বারপাইকা মিজি বাড়ি সংলগ্ন ইরিগেশন খালে দুইটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলমান থাকার কারণে খালে বাঁধ দিয়ে পানি বন্ধ রাখার কারণে তারা কৃষি জমিতে পানি পাচ্ছে না। তাই জমি পানির অভাবে ফেটে চৌঁচির হয়ে যাচ্ছে। কৃষি জমির দিকে তাকিয়ে এক মাস কালভার্টের কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করে তারা লিখিত আবেদন করেন। একই দিকে চরমুঘুয়া এলাকার কৃষকদের। ১৫ নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাউছার আলম কামরুল জানান, কৃষকদের ফোন পেয়ে আমি ঘটনার স্থলে গিয়ে সাথে সাথে ১ শত ফুট পাইপ দিয়ে পানির ব্যবস্থা করলেও  কোন কাজ আসছেনা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ জানান কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে ঘটানাস্থলে গিয়েছি । পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ে চিঠি প্রদান করেছি যাতে  ধানের ক্ষেত গুলোতে দ্রুত পানি দেয়া সম্ভব হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা নির্বাহি প্রকৌশলী এস এম রিফাত জামিল জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চিঠি পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি,আসা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো আমরা। ফরিদগঞ্জ প্রকৌশলী বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউনুর রহমান জানান, আমি সকলের সাথে কথা বলে কৃষকদের সুবিধার্থে ব্যবস্থা নিবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলি হরি জানান, কৃষকরা আমার কাছে এসেছিল। আমি উভয় পক্ষের সাথে আলাপ করে সমাধানের চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

দৈনিক অন্যধারা/এইচ
- Advertisement -

আরো পড়ুুর