বিনোদন ডেস্ক :
সুন্দরী প্রতিযোগিতা জিতে রাতারাতি লাইম লাইটে উঠে এসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। ২০০১ সালে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জিতেছিলেন। তার ফিগার আর সুন্দর মুখে নজর আটকে ছিল পরিচালক ফিরোজ খানের। তাইতো ছেলে ফারদিন খানের ডেবিউ সিনেমা ‘জানশিন’-এ সেলিনাকেই নায়িকা নির্বাচন করেন তিনি।
সেই সময় বলিউডের অন্যতম ‘আবেদনময়ী নায়িকা’ হিসেবে নজর কেড়েছিলেন। তার বিকিনি লুক থেকে নজর ফেরেনি কারোই। যদিও সেলিনার বলিউড কেরিয়ার সেভাবে কোনো দিনই দাঁড়াইনি। বিয়ে করে আপতত ঘোর সংসারী তিনি। গতকাল (মঙ্গলবার) আচমকাই আলোচনায় সেলিনার পুরোনো সম্পর্ক। নেপথ্য তাকে ঘিরে ভাইরাল হওয়া এক টুইট। এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানায়, ওই টুইটে উমের সান্ধু নামের এক স্বঘোষিত চলচ্চিত্র সমালোচক দাবি করেছেন, সেলিনা জেটলি বলিউডের একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি বাবা (ফিরোজ খান) এবং ছেলে (ফারদিন খান) দুজনের সঙ্গেই বহুবার ঘুমিয়েছেন।
এই টুইট নজর এড়ায়নি সেলিনার। এমন কুরুচিপূর্ণ ও আশালীন টুইটের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন নায়িকা। মিস্টার সান্ধু, এটি পোস্ট করায় হয়ত আপনি পুরুষ হওয়ার দৌড়ে দৈর্ঘ্যে ও পরিধিতে বেড়েছেন, হয়ত একটু আশাও বেড়েছে আপনার যৌন অক্ষমতা (নপুংসতা) সেরে উঠবে। নপুংসতা সারানোর জন্য চাইলে আপনি চিকিৎসের পরামর্শ নিতে পারেন, আপনার অবশ্যই চেষ্টা করা উচিত নিজের সমস্যাটা সমাধানের! এরপর টুইটার সেফটিকে ট্যাগ করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানায় অভিনেত্রী।
সেলিনার এমন সপাট জবাবের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। একজন লেখেন, খুব ভালো করেছো। অনেকে সাহস লাগে এটা লিখতে। অপর একজন লেখেন, সেলিনা দারুণ করেছো। গর্বিত তোমাকে নিয়ে। এই ধরণের ইউজারদের টুইটারে কোনো জায়গা নেই, এই দাবি তুলে কর্তৃপক্ষকে ট্রোলারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানিয়েছেন সেলিনা ভক্তরা। সঙ্গে নায়িকার উদ্দেশে তাদের বার্তা, চাইলেও কেউ কারুর চরিত্রে দাগ লাগাতে পারে না। ফিরোজ খান (বাঁয়ে), সেলিনা জেটলি ও ফারদিন খান।
আপতত স্বামী ও তিন সন্তানকে নিয়ে অস্ট্রিয়াতে থাকেন সেলিনা। ২০২০ সালে বিয়ের পর বলিউড ছাড়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে তার ব্যক্তিগত। আউটসাইডার হয়ে ভালো চরিত্র খুঁজতে খুঁজতে হাঁফিয়ে উঠেছিলেন। সেইজন্যই সিনেমা থেকে বিরতি নেন তিনি। শেষবার রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের শর্টফিল্ম ‘সিজন গ্রিটিংসে’ পর্দায় দেখা গিয়েছিল সেলিনাকে। ২০২০ সালে মুক্তি পেয়েছিল সেটি।
দৈনিক অন্যধারা / ১২-০৪-২০২৩
