- Advertisement -
- Advertisement -
অন্যধারা ডেক্স :
কেন্দ্রীয় বিএনপির আগামী ৪ মার্চের পদযাত্রা কর্মসূচি সফল করতে যৌথ প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছিল গাজীপুর মহানগর বিএনপি। এ সময় হামলা চালায় বিএনপির আরেক পক্ষ। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে লেগে পণ্ড হয়ে যায় প্রস্তুতি সভা। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন এবং একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার) দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আলোচনা সভা চলাকালে এ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সভা চলাকালে অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় বিএনপির আরেক গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা। হামলাকারীরা প্রস্তুতি সভার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। সেইসঙ্গে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের বাধা দিলে সংঘর্ষ লেগে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হন। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদল কর্মী রাজুকে আটক করেছে পুলিশ।
দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত ৪ মার্চের পদযাত্রা কর্মসূচি সফল করতে বেলা ১১টা থেকে মহানগর বিএনপির যৌথ প্রস্তুতি সভা চলছিল। সভা চলাকালে প্রতিপক্ষের লোকজন রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা সভাস্থলের ব্যানার ছিঁড়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। উপস্থিত নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ কর্মী আহত হন। পরে সভা সমাপ্ত না করেই আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, মহানগর বিএনপি এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলায় জড়িত। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ সময় একজনকে আটক করা হয়।
দৈনিক অন্যধারা / ২৮-০২-২০২৩
- Advertisement -