বিশেষ প্রতিনিধি:
মহান বিজয় দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধায় বীর শহীদদের স্মরণ করেছেন চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর ) সকালে জেলার মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলজের অস্থায়ী শহীদ মিনারে জাতির শ্রষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিকেল বেলা হঠাৎ লাল-সবুজ পাঞ্জাবি পড়া কয়েকজন তরুণ আসে শহীদ মিনারে ৷ প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদদের প্রতি। কিছুক্ষণ অপেক্ষ করেন তারা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি আসতেই তারা লেগে পড়েন কাজে। সিটি কর্পোরেশনের কাজে সহায়তা করতে থাকেন তারা। গাট্টি করে ফুলের স্তবকগুলোকে তুলে দেন সিটি কর্পোরেশনের গাড়িতে। এসকল তরুণরা নিজেদের সামাজকি সংগঠন র্দূবার তারুণ্য এর স্বেচ্ছাসেনক হিসেবে পরচিয় দেন। এসময় উপস্থতি ছিলেন দূর্বার তারুণ্য এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিহাদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক তা রবিউল হাসান, পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, সদস্য মোঃ রিয়াদ হোসেনসহ জেলা পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবকরা। সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্ঠা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর জানান, আমাদের সংগঠন সর্বদা মানুষের পাশে থাকতে পছন্দ কর। দূর্বার তারুণ্য এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজেক্ট সম্পন্ন করে আমরা মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে থাকি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে কোন ভালো কাজের ম্যাসেজ সবাইকে দেয়া। আজকের মাধ্যমে আমরা এই নগরীকে সর্বদা পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন করার অঙ্গীকার করছি। এ বিষয়ে দূর্বার তারুণ্য এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ বলনে, আমরা দূর্বার তারুণ্য সব সময়ই ইউনিক কিছু করার চেষ্টা করি। আজকওে তার ব্যতিক্রম কিছু হয় নি। আমরা সিটি কর্পোরেশনের কাজে শুধুমাত্র সহায়তা করছি। আমাদের নগরী যেন পরিস্কার থাকে সেই ব্যাপারে আমরা সর্বদাই সচতেন। কিন্তু আজকের বিশেষত্ব হল- শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য যে-ই ফুল ব্যবহার করা হয়েছে সেই ফুলের ব্যবস্থা যেন যথাযথভাবে সম্পন্ন করা যায়। সিটি কর্পোরেশন এর পরিচ্ছন্ন কর্মী মোঃ শিপন বলেন, তারা যা করেছে, তা ই বা কয়জনে করে? ওনাদের জন্য আমাদের কাজ সহজ ও তাড়াতাড়ি হয়েছে। ওনাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। সমাজ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দূর্বার তারুণ্য এই প্রজেক্ট মানুষের মানসিকতা পরিবর্তনে বিশাল ভূমিকা রাখবে। হয়তো তাদের ধারাবাহিক কার্যক্রম আমাদের শহরকে পরিচ্ছন্ন নগরীতে রুপান্তর করবে।
দৈনিক অন্যধারা/১৬ ডিসেম্বর ২০২২/ মওম