অন্যধারা ডেস্ক :
ভারতের কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল জম্মু এবং কাশ্মীরে ‘বাংলাদেশ’ নামে একটি গ্রামের খোঁজ পাওয়া যায় বেশ কিছুদিন আগে। আর এবার ভারতের মহারাষ্ট্রে একটি বাস স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ’।
গত শুক্রবার স্থানীয় পুরসভার (মিরা-ভাঈন্দর পৌর নিগম) তরফে মহারাষ্ট্রের থানে জেলার অন্তর্গত পশ্চিম ভাঈন্দরের উত্তান চক এলাকায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের নামে একটি বাস স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হয়। আর এরপর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এই ‘বাংলাদেশ’ নামাঙ্কিত বাস স্ট্যান্ড।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘গত কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশ থেকে প্রচুর বাংলাভাষী মানুষরা কাজের খোঁজে এবং সস্তায় বাসা ভাড়া পাওয়া যাওয়ার কারণে এখানে এসে বসবাস শুরু করে। আসলে এই জায়গাটির প্রকৃত নাম ইন্দিরা নগর। কিন্তু প্রচুর সংখ্যায় বাঙালি মানুষের উপস্থিতির কারণে অনেকেই ‘বাংলাদেশ’ বলেও ডেকে থাকে।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী এই জায়গাটির আসল নাম ইন্দিরা নগর। তারই পশ্চিম প্রান্তে ভাঈন্দর হল একটি সমুদ্র তীরবর্তী জায়গা। ফলে প্রচুর পরিমাণ মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীর বসবাস এই এলাকায়। আর মাছকে কেন্দ্র করেই বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয় এখানে। এইসব কাজে দরকার প্রচুর পরিমাণ লোকবল। আর সেই কাজের খোঁজে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও বহু বাংলা ভাষী মানুষ এসে ভাঈন্দর আসে এবং পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তারা মূলত বাংলাতেই কথা বলেন। পরবর্তী সময়ে বাঙালি মানুষের আধিক্য বাড়তে থাকায় ‘বাংলাদেশ বস্তি’ বলে পরিচিত লাভ করতে থাকে এটি।
শুধু তাই নয়, এই কলোনিতে বসবাসকারী মানুষের আধার কার্ড, বিদ্যুতের বিল, এমনকি পুরসভার কাছ থেকে পাওয়া বাড়িতেও অনেকেই ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি ব্যবহার করে আসছে বলে অভিযোগ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মিরা-ভাঈন্দর পুরসভার কাছে এ ব্যাপারে কোনো তথ্যই ছিল না।
এরই মধ্যে পুরসভার তরফে ‘বাংলাদেশ’ নামে একটি বাস স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হয়। শুক্রবার নামের সেই ফলকটি সামনে আসে। এরপরই পুরসভার এই সিদ্ধান্তে বিরোধিতা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিমত এর ফলে এলাকার পরিচিতিতে এর প্রভাব পড়বে। স্বাভাবিক কারণেই নতুন নাম সরিয়ে ফের পুরানো নাম বহাল রাখার আবেদন জানানো হয়েছে পুরসভার কাছে।
ডি.ও // র হ খ