মধুখালীতে পেঁয়াজ চাষীদের মাথায় হাত

- Advertisement -
মানিক শিকদার 
ফরিদপুরের মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষে উপযোগী। দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে ফরিদপুর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ফরিদপুরে তিন ধরনের পেঁয়াজ চাষ হয়। মুড়ি কাটা, হালি ও দানা পেঁয়াজ। সব মিলিয়ে জেলায় প্রায় ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে, যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন।এ বছর পেঁয়াজ চাষ করে চাষিদের মাথায় হাত। চাষেরা ভেবেছিলেন রোজার আগেই পেঁয়াজ বিক্রি করে সুন্দরভাবে রোজা পালন করবেন এবং আনন্দময় ঈদ উৎসব করবেন। কিন্তু তা আর হচ্ছে না। উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকের। কিস্তির টাকা ও দেনা পরিশোধ হওয়াটাই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও চাষ করতে প্রচুর পরিমাণ সার, ওষুধ ও সেচের প্রয়োজন হয়। সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ অনেক বেশি।
একজন কৃষি শ্রমিককে দিনে, ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দিতে হয়। ফলে মণপ্রতি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা উৎপাদন খরচ হয়েছে। কিন্তু বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে। পেঁয়াজের এই কম মূল্যের কারণে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও অখুশি, গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির কারণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পেঁয়াজ সরবরাহ করতে তাদেরকেও বেগ পেতে হচ্ছে। মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলভীর রহমান কৃষকদের বিচলিত না হয়ে মাঠ থেকে তুলে সাথে সাথে বাজারে বিক্রি না করে নিজ বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। অসহায় ভুক্তভোগী পেঁয়াজচাষিরা সরকারের কাছে প্রণোদনা দাবি করেন এবং আগামী মৌসুমে যেন ফসল উৎপাদন করতে পারে এজন্য সার, বীজসহ বিভিন্ন সহজগিতা কামনা করেন।
দৈনিক অন্যধারা/এইচ
- Advertisement -

আরো পড়ুুর