মাদক মামলার বিচারকালে নায়িকা পরীমনির সশরীরে আদালতে উপস্থিতি চায় রাষ্ট্রপক্ষ। রবিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দশ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ আবেদন করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুব হাসান।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রেগনেন্ট থাকায় আদালত আসামির (পরীমনি) আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা মঞ্জুর করেছিলেন। তিনি এখন মা হয়ে গেছেন। তাই আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরার আর প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রত্যেক ধার্য তারিখে তাকে (পরীমনি) সশরীরে আদালতে হাজির হতে আদেশ দেয়ার আবেদন করছি।
পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান ও নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘মাস খানেক হলো পরীমনি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। তাছাড়া সরকারিভাবে মাতৃত্বকালীন ছুটিও তো ছয় মাস। তিনি সুস্থ হলে আদালতে হাজিরা দেবেন।’
শুনানি শেষে বিচারক নজরুল ইসলাম আবেদনটির বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে নথিভুক্ত রাখার আদেশ দেন। এদিন মামলার বাদী র্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমানকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। এরপর আদালত ১৩ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। শুনানিকালে পরীমনির ম্যানেজার এ মামলার আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও খালু কবীর হাওলাদার আদালতে হাজির ছিলেন।
গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় পরীমনিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৪ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।
গত বছর ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। ওই সময় বাসা থেকে ১৯টি বোতলে ১৮.৫ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি জব্দ করা হয়।
চার্জশিটে বলা হয়, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ হওয়া মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। তদন্তকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর লিখিতভাবে জানিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৩০ জুন এর মেয়াদ শেষ হয়েছে।
অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহের বিষয়ে বলা হয়, জব্দকৃত মাদকদ্রব্য পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
দৈনিক অন্যধারা/০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২/জ কা তা