রাগ হলে কি মানুষ খুন করা যায়, প্রশ্ন তুললেন ‘কিরণমালা’

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা ডেস্ক :

কয়েকদিন আগেই একটি স্টেজ শোয়ে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুকমা রায়। যিনি ‘কিরণমালা’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে দর্শকমহলে খ্যাতি লাভ করেছেন। এবার সেই স্টেজ শোয়ে গিয়ে হেনস্তার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন। কেননা, এখনো ওই ঘটনার তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলতে পারেননি তিনি।

গত ২৪ মে হুগলি জেলার খানাকুলের উদয়পুরের এক অনুষ্ঠানে পর্দার ‘কিরণমালা’কে দাওয়াত করে নিয়ে অপমান করেছেন আয়োজক সদস্য রাজু সামন্ত। মঞ্চ থেকে অভিনেত্রীকে নেমে যেতেও বলেছিলেন রাজু। অভিনেত্রীর অপরাধ ছিল, উপস্থিত দর্শকদের অনুরোধে তাদের সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন।

এ ঘটনায় রুকমার কাছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ অবশ্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু ক্ষমা চাইলেও পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী রুকমা বলেন, রাগ হলে কি যা ইচ্ছা তাই করা যায় নাকি? মানুষও খুন করা যায়?

জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘দেশের মাটি’র মাম্পি, কখনো ‘খড়কুটো’র তিন্নি হিসেবে নজর কাড়া এ অভিনেত্রী জানান, গত চারদিন তার ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে। অনেক বাজে মন্তব্যের শিকার হয়েছেন। যদিও এ সময়ে অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজার অ্যান্ড আর্টিস্ট মিউজিক্যাল ফোরামকে পাশে পেয়েছেন তিনি।

এর আগে উদয়পুরের অনুষ্ঠানে রুকমা যাবেন, এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর অনুষ্ঠানস্থলে ভিড় জমায় দর্শকরা। সবার অনুরোধ—সেলফি তুলতে হবে। অভিনেত্রীও শর্ত জুড়ে দেন। বলেন, একটি মোবাইল ফোন দিয়েই সেলফি তুলবেন তিনি। এরপর সেভাবেই সেলফি তুলেন।

এ সময় আয়োজন কমিটির একজন বিরক্তি ভাব নিয়ে উচ্চ স্বরে বলেন, আপনাকে নিজের অ্যাড দেয়ার জন্য অর্থ দিয়ে আনিনি। এরপর অভিনেত্রীকে স্টেজ থেকে নেমে যেতে বলেন। রুকমাও আর দেরি করেননি।

এ অভিনেত্রী বলেন, আমাকে নেমে যাওয়ার কথা বলার পর আমি আর এক মুহূর্তও দেরি করিনি। অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে আসি। আমাকে যারা ভালোবাসেন, তাদের কথা ভেবেই ব্যাকস্টেজে প্রায় বিশ মিনিট বসে থাকি। বাকিদের বলি, যিনি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন তাকে ক্ষমা চাইতে হবে আমার কাছে। এ দাবি করা মোটেও অপরাধ নয়। কিন্তু তিনি ক্ষমা চাননি। বরং পাল্টা বলতে থাকেন, ‘কিছুতেই সরি বলব না। গেলে চলে যাক। আমার সিঙ্গার আছে। তাকে দিয়ে চালিয়ে নেব অনুষ্ঠান।’

রুকমা আরও বলেন, এরপর আরও কিছুক্ষণ বসে থাকার পর টিম নিয়ে সেখান থেকে চলে আসি আমি। আর যেটা বলা হচ্ছে, আমি দু’ঘণ্টা দেরি করেছি, সেটাও সত্য নয়। ওই দিন আমাকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে তা প্রকাশের ভাষা নেই আমার।

ডি.ও // র হ খ

- Advertisement -

আরো পড়ুুর