যেখানে সেখানে শিল্প-কারখানা করে কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না:প্রধানমন্ত্রী

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন, যেখানে সেখানে শিল্প-কারখানা করে কৃষিজমি নষ্ট করা যাবে না । মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে।শুধু তাই নয় অনেক দেশ খাদ্য সংকটেও ভুগছে। আপাতত বাংলাদেশে খাদ্য সংকট না থাকলেও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে। কারণ খাদ্য চাহিদা কখনও কমবে না বরং বাড়বে।

রোববার (৫ ডিসেম্বর,২০২১) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২১’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এমন কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, শিল্পায়ন ও খাদ্য উৎপাদন দুটোই আমাদের প্রয়োজন। কাজেই শিল্পায়ন করতে হবে সুনির্দিষ্ট জায়গায়, যাতে উৎপাদন ব্যহত না হয়। সারাদেশে শিল্পাঞ্চল সম্প্রসারিত করার লক্ষে ১০০টি শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে। বর্জ্যব্যবস্থাপনা ঠিক রাখার জন্য এবং পরিবেশ যাতে নষ্ট নয় সেজন্য বিসিকের ভিতরে শিল্পায়ন করুন।

শেখ হাসিনা এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্যে বলেন, কেউ যদি উদ্যোক্তা হয় তবে সে কোথায় কারখানা করবে সেটা ঠিক করে দেন। নিজস্ব জায়গায় করতে চাইলে বর্জ্যব্যবস্থাপনা কীভাবে করবে সেটা ভালোভাবে দেখতে হবে। তাছাড়া অঞ্চলভিত্তিক শিল্পকে কাজে লাগাতে হবে। যে অঞ্চলে যে পণ্য হচ্ছে সেই অঞ্চলে সেই শিল্পকারখানা করতে হবে। যাতে ঐ পণ্যের সঠিক ব্যবহার হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উদ্বৃত্ত সম্পদকে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশি বাজার ধরার জন্য আমরা কৃষি ও খাদ্যপ্রক্রিয়াজাত শিল্পকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। মাছ-সবজি উৎপাদন অনেক বাড়িয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আমরা ইশতেহারে ২০২১ সালে মধ্যে বাংলাদেশ কে  মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলাম। আজ আমরা সেই কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতে পেরেছি। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ। সারাবিশ্বে সে মর্যাদা নিয়ে চলবে।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত ও টেকসই অর্থনীতির ভিত গড়তে হলে দেশে শ্রমঘন ও স্বল্পপুঁজির এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। সরকার সবধরনের শিল্পই সারা দেশে গড়ে তুলতে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ এসএমই উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। জিডিপিতে বর্তমান এসএমই খাতের অবদান ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩২ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমাদের ‘এসএমই নীতিমালা ২০১৯’  নির্ধারণ করা হয়েছে। কাজেই সেভাবেই উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ, টেকসই শিল্পায়ন ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ খাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে ‘এসএমই নীতিমালা ২০১৯’ নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় শিল্পনীতি ও এসএমই নীতিমালার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামে-গঞ্জে বা তৃণমূল পর্যায়ে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে ও বিদ্যমান এসএমই ক্লাস্টারসমূহ আরও গতিময় হবে। রূপকল্প ২০২১, এসডিজি ২০৩০ এবং রূপকল্প ২০৪১ অর্জনে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে আমি বিশ্বাস করি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন ডিজিটাল দেশ। ঘরে বসে এখন সবকিছু জানা যাচ্ছে। ইচ্ছে করলে কেউ স্ব-উদ্যোগে কাজ করে উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব। আপনারা উদ্যোগ নিন। নিজেরা উদ্যোক্তা হোন। অন্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিন।

সাপ্তাহিক অন্যধারা//আর এম

- Advertisement -

আরো পড়ুুর