অনলাইন ডেস্ক
পূজামণ্ডপে স্বপ্নের পদ্মা সেতু! অবাক করার মতো কথা হলেও শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শেরপুরের একটি মণ্ডপ হয় সাজানো হয়েছে পদ্মা সেতুর আদলে। শেরপুর পৌর শহরের বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাবের উদ্যোগে বানানো এই ভিন্নধর্মী আয়োজন দেখতে দিনরাত ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। গেলো বছরও পুকুরে ভাসমান করোনাভাইরাসের অবয়ব তৈরি করেছিল সংগঠনটি।
শেরপুরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মহাধূমধামে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসব। সব মণ্ডপই সাজানো হয়েছে আকর্ষণীয় সাজে। রঙিন আলো আর কারুকাজের কমতি রাখেননি কারিগররা। মহালয়ার পর থেকে পূণ্যার্থীদের প্রার্থনা আর দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত প্রতিটি মণ্ডপ। বাহারি রঙে ভিন্ন আয়োজনে নিজেদের মণ্ডপ সাজাতে আয়োজকদের মধ্যেও চলছে প্রতিযোগিতা।
সনজিতের স্ত্রী বলেন, প্রতি বছরই স্থানীয়ভাবে বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাবের উদ্যোগে জলের ওপর আমরা কিছু তৈরি করি। গত বছর আমরা করোনাভাইরাস বানিয়েছিলাম। তার আগে পানসী নৌকায় মণ্ডপ করেছিলাম। এবারও আমার স্বামী যখন আমাকে কিছু তৈরির কথা বললো, তখন আমি তাকে পদ্মা সেতু বানাতে বলেছিলাম। সে ভয় পেলেও আমার অনুপ্রেরণায় এক মাসের পরিশ্রমে এই পদ্মা সেতু তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু আমরা নিজেরা নিজেদের পুকুরে তৈরি করে বেশ গর্বিত।
কারিগর সনজিত সূত্রধর বলেন, আমার স্ত্রীর কথায় প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। তারপর সাহস করে শুরু করি। এরই মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, তবে এখনো কিছু হিসাব বাকি আছে।
বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাব মন্দিরের সভাপতি বিজয় দে বাবন বলেন, আমাদের এই প্রাচীন মন্দিরে আমরা প্রতি বছরই ভিন্ন কিছুর আয়োজন করি। কিন্তু আমাদের মন্দিরটি এখনো উন্নয়ন হয়নি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের মন্দিরের জন্য আর্থিক সহযোগিতা চাই। যাতে আমাদের মন্দিরটার একটু উন্নতি হয়।
পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যমতে, এ বছর শেরপুর জেলায় ১৫৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
দৈনিক অন্যধারা/ এইচ