বিনোদন ডেস্ক:
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম), বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন দেশের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। সেই নির্বাচনে পরজিত হয়েছিলেন। এদিকে আবার ঢাকা-১৭ আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
এসব নিয়েই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন হিরো আলম। সংবাদমাধ্যমটির কাছে তিনি দাবি করেছেন, বগুড়ার উপনির্বাচনে তিনি জিতেছিলেন, তবে তাকে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছে।
হিরো আলম বলেছেন, ‘আসলে আমি জিতেছিলাম। কিন্তু আমাকে জোর করে হারানো হয়েছিল। আমার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তাই আমি দেখিয়ে দিতে চাই, যা হয়েছিল সেটা অন্যায়।’
চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে শুন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে আগামী ১৩ জুন নমিনেশন জমা দিবেন হিরো আলম। তবে প্রশ্ন উঠেছে তার যোগ্যতা নিয়ে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ফারুক ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চাই। আর যোগ্যতা প্রসঙ্গে বলব, হ্যাঁ এটা তো ঠিক যে আমি যোগ্য নই সাংসদ হওয়ার। কিন্তু এখানে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন, যারা অযোগ্য, অথচ পদে আছেন। তারা কেউ কোনো কাজ করেন নি।’
হিরো আলম জানিয়েছেন, তিনি এখন যদি ১০০ পরিবারের জন্য ভাবেন, সুযোগ পেলে ১০ হাজার পরিবারের কথা ভাবতে পারবেন।
এর আগেও বিভিন্ন কারণে বিতর্কে জড়িয়েছেন হিরো আলম। অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক পরবেন না এবং বিকৃত করে রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত গাইবেন না জানিয়ে গত বছর জুলাইয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে মুচলেকা দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘আমি আতঙ্কে আছি। আমাকে মানসিক নির্যাতন করছে পুলিশ। বাক-স্বাধীনতা সবার রয়েছে।’
তিনি জানিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষ তাকে পছন্দ করেছে বলেই বর্তমানে তার এত এত অনুসরণকারী। কোনোটাই ভুয়া নয়। কোনো সংবিধানে লেখা নেই যে কেউ ভালোবেসে গান গাইতে পারবেন না।
তবে বর্তমানে তিনি অনেকটাই শান্তিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমটিকে। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে খুবই আশাবাদী। সাধারণ মানুষ, বিশেষত দেশের গরিবদের জন্য ভাবতে চান। আগামী নির্বাচনই তার একমাত্র লক্ষ্য।
ডি.ও // র হ খ