সামরিক শক্তিতে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে কার শক্তি বেশি

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি চীনের আপত্তি ও বাধা উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফরে আসেন। তার এ সফরকে ঘিরে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় বেইজিং। এমনকি, সামরিক অভিযানেরও হুমকি দেয় তাইওয়ানের বিরুদ্ধে। তার এ সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে চীনের ২০টির বেশি যুদ্ধবিমান।

সামরিক শক্তিতে তাইওয়ান চীনের থেকেও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তবে চীন সশস্ত্র হামলা চালালে তাইওয়ানকে প্রতিরক্ষা সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এ চলমান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাইওয়ানে যুবকদের। চীন ও তাইওয়ানের সামরিক শক্তি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা পরিসংখ্যানে দিয়েছে।

আর্মড ফোর্সেস ডট ইউ এর তথ্যসূত্রে জানা যায়, চীনের ২৫২ বিলিয়ন ডলার ও তাইওয়ানের ১৩ বিলিয়ন ডলার সামরিক বাজেট রয়েছে। চীন ১ দশমিক ৭ শতাংশ জিডিপি খরচ করে সামরিক খাতে এবং ২ দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপি খরচ করে তাইওয়ান। জনসংখ্যার দিক থেকেও তাইওয়ান পিছিয়ে। চীনের জনসংখ্যা ১৩৯ কোটি ৮০ লাখ ও তাইওয়ানের মাত্র দুই কোটি ৩৬ লাখ। এ হিসেবে চীন ও তাইওয়ানের কোনো তুলনাই চলে না।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের ২০২২-এর হিসাব অনুযায়ী সামরিক খাতে চীনের মতো খুব কম দেশই খরচ করে। ২৩ হাজার কোটি ডলার চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট। ১ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার হলো তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বাজেট। ২০ লাখ সক্রিয় সেনা রয়েছে চীনে। আর মাত্র ১ লাখ ৭০ হাজার সেনা তাইওয়ানের। ফলে সেনাসংখ্যার হিসাবেও তাইওয়ান চীনের থেকে পিছিয়ে রয়েছে। ৫ হাজার ২৫০টি ট্যাঙ্ক রয়েছে চীনের কাছে। আর ১ হাজার ১১০টি ট্যাঙ্ক তাইওয়ানের। ৩ হাজার ২৮৫টি যুদ্ধবিমান আছে চীনের কাছে। মাত্র ৭৪১টি আছে তাইওয়ানের কাছে। তবে এফ ১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে তাইওয়ানের কাছে। তাইওয়ানের নৌবহর মাত্র ১৭৭টি এবং চীনের নৌবহর ৭৭৭টি। সব মিলিয়ে এখানেও তাইওয়ান চীনের অসম।

ট্রেন্ডস ইন ওয়ার্ল্ড মিলিটারি এক্সপেন্ডিচার ২০২১ অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকা সবচেয়ে বেশি খরচ করে। তাদের খরচের পরিমাণ ৮০ হাজার কোটি ডলার। এরপরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন। তারা খরচ করে ২৯ হাজার কোটি ডলার। সেখানে তাইওয়ান মাত্র ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার খরচ করে। তবে সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো তাইওয়ানের থেকে কম অর্থ খরচ করে।

প্রশ্ন হচ্ছে, যদি কখনো পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে বাধ্য হয়ে কাউকে সমর্থন করতে হয় তবে তারা কাকে সমর্থন করবে কাকে? এ বিষয়ে দ্য স্টেট অফ সাউথইস্ট এশিয়া ২০২২ অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, নিশ্চিতভাবে চীনের পক্ষে লাও, কম্বোডিয়া ও ব্রুনেই সমর্থন জানাবে। কিন্তু সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ফিলিপাইন্স, মালয়েশিয়ার সমর্থন আমেরিকার পক্ষেই থাকার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে

দৈনিক অন্যধারা/০৩ আগস্ট ২০২২/ জ কা তা

- Advertisement -

আরো পড়ুুর