হত্যার ঘটনা জানলে আসামির বাবাকে আশ্রয় দিতেন না

- Advertisement -
অন্যধারা ডেস্ক
স্বামীকে ফেরত চান স্ত্রী জোসনা খাতুন। বাবার জন্য একমাত্র মেয়ের কান্না থামছেই না। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামে সাভারের আশুলিয়ায় হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুলছাত্রের বাবাকে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বাড়ির মালিক মোজাহার প্রামাণিককেও আশুলিয়া থানা-পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে বলে তাঁর স্বজনেরা জানিয়েছেন। মোজাহার প্রামাণিকের স্ত্রী জোসনা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জানলে কখনোই বাড়িতে অভিযুক্ত স্কুলছাত্রের বাবাকে আশ্রয় দিতেন না তিনি। আশ্রয় দেওয়ার কারণে তাঁর স্বামীকে পুলিশ নিয়ে গেছে। তাঁর নিরপরাধ স্বামীকে দ্রুত ফেরত চান তিনি। জোসনা খাতুনের ভাষ্যমতে, তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জে। আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তখন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামের মোজাহার প্রামাণিকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দুজনই আশুলিয়া এলাকায় অভিযুক্ত স্কুলছাত্রের বাবার বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। চার বছর আগে তাঁরা গ্রামে চলে আসেন। কৃষিকাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। তাঁদের সংসারে একটি মেয়ে আছে। জোসনা খাতুন বলেন, তাঁরা বাড়িতে চলে এলেও আশুলিয়ার ভাড়া বাসার মালিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হতো। তবে কখনোই কুমারখালীতে আসার কথা বলতেন না তিনি। গত রোববার সকালে হঠাৎ তিনি ফোন করে জানান, তিনি কুমারখালীতে আসছেন। রোববার বিকেলে তিনি একাই কুমারখালীতে পৌঁছে যান। গতকাল রাতে আশুলিয়া থানার পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। আর আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে তাঁর স্বামী মোজাহারকেও ধরে নিয়ে যায়। জোসনা খাতুন বলেন, বাড়িতে টেলিভিশন থাকলেও সেটা বিকল। কোনো খবর জানতে পারেন না। আশুলিয়ায় শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাড়িওয়ালার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। পুলিশ বাড়িতে আসার পর ঘটনা জানতে পারেন। জানলে কখনোই আশ্রয় দিতেন না। তাঁর স্বামী নির্দোষ, স্বামীর মুক্তি চান তিনি। মোজাহার প্রামাণিকের মা আয়েশা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো অপরাধ করিনি। আমার বুক ধড়ফড় করছে। ছেলেকে দ্রুত আমার কাছে ফেরত দেন।’ মোজাহারের ভাই আজাহার প্রামাণিক বলেন, রোববার বিকেলে আশুলিয়ার ওই ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে আসেন। শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তাঁরা কিছুই জানতেন না। জানলে কখনোই তাঁকে আমাদের ঘরে জায়গা দিতেন না।
দৈনিক অন্যধারা/ এইচ
- Advertisement -

আরো পড়ুুর