হিলি যাত্রাবিরতি দাবিতে রেলপথ অবরোধ

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা প্রতিবেদকঃ:

সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও রেলপথে আমদানিকৃত পণ্য খালাসের দাবিতে দিনাজপুরের হিলিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে দেড়ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় হিলি রেলওয়ে স্টেশনে তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পরে খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও স্টেশনে অবরোধের মুখে পড়ে। পরে দুপুর ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিলি রেলওয়ে স্টেশনের ওপর দিয়ে ঢাকা-পঞ্চগড়-রংপুর-চিলাহাটিগামী প্রায় ১৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এগুলোর মধ্যে শুধু রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রাবিরতি করে।

কর্মসুচীতে অংশ নেওয়া নবম শ্রেণির ছাত্রী রাফছানা আনজুম বলেন, ‘হিলি দেশের অন্যতম বৃহৎ স্থলবন্দর। হিলি পোর্ট ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষ ভারতে চিকিৎসা, ব্যবসা, ভ্রমণের জন্য যান। কিন্তু এখানে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন থামে না। যে কারণে বিরামপুর স্টেশনটি ব্যবহার করতে হয়। তাই ঐতিহ্যবাহী এই স্টেশনে পুনরায় আন্তঃনগর সব ট্রেন যাত্রাবিরতি করার জোর দাবি জানাই।’

হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ‘১৮৪৫ সালে হিলি স্টেশনকে কেন্দ্র করে আজকের হিলি স্থলবন্দর গড়ে ওঠে। কিন্তু ২০০৮ সালের দিকে হঠাৎ করে আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি বাতিল করে। ফলে ব্যবসায়ীদের ট্রেনে ভারতীয় পণ্য আপলোডের জন্য বিরামপুর অথবা পাঁচবিবি স্টেশনে ব্যবহার করতে হয়। এতে একদিকে সময় অপচয় হয়, অন্যদিকে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই দ্রুত আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

সান্তাহার স্টেশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান জানান, আগামীতে রেলের নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। সেই সময় যাত্রাবিরতির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

অন্যধারা/২৩ সেপ্টেমম্বর ২০২৪

- Advertisement -

আরো পড়ুুর