হুলিয়া
রুবিনা সুলতানা
অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরে আলোর প্রবেশ, দেহলী ছাপিয়ে
পিনপতন নীরবতা স্তব্ধ আরোহী ধীরে ধীরে
জাদুকরী নেশারঝোঁক কাটিয়ে অক্ষিকোটরে
নীল রশ্মি
আলোছায়ার খেলা চলে চক্রবৃদ্ধি হারে দেয়ালে দেয়ালে
সন্ধ্যেটা বিলীন হয়ে গেল, চায়ের কাঁপে উড়ে যায় উষ্ণ ধোঁয়া
তারপর কপালে জমে থাকা নির্লিপ্ত স্বেদবারি
অবশিষ্টাংশ আর কিছুই রইলো না বাকী
শুধুই সময়ের উৎখাত আর ফয়সালা ছাড়া
দ্রৌপদীর বস্র হরণ ধুর্যোধনের রাজসভায়
হৃদপিণ্ডটা নীশি যাপন করে তোমার কোলে
শকুন খোঁজে বদলে যাওয়া হৃদয়ের ভাঁজে ভাঁজে
আমার বেপরোয়া মধ্যাহ্ন, সে-ও হারিয়ে গেছে সূর্য গ্রহণের রাহুগ্রাসে
শেষ পর্যন্ত তোমার কপালে বদনামের রাজটিকা
আসমুদ্র হিমাচল সকল কর্মকাণ্ডের আমি মূল হোতা
তবে হুলিয়া জারি হোক আমার নামে শহরে শহরে
আমাকে বন্দী করা হোক চৌদ্দ শিকের একটি প্রকোষ্ঠে
যেখানে অক্সিজেনের প্রবেশ নিষিদ্ধ অনুরণন
অভিযুক্তদের তালিকায় লেখা হোক আমার নাম
আমি নিষ্প্রাণ হতে হতে, নিষ্পাপ কণ্ঠে বলবো
তোমার মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত হোক ভাব গাম্ভীর্যের বীরত্বে
রুষিত দৃষ্টি চেপে ধরুক আমার কন্ঠনালী
ঘন্টা বাজুক ছুটির অপেক্ষায় দিনের পর দিন
মাঝ দরিয়ার জলরাশির বৈঠা বেয়ে যাব রুদ্রদীপ।
অন্যধারা/১৪/০৫/২০২৪/আকাশ