নারীরা ভোগের বস্তু নয় বরং দেশে ও জাতির উন্নয়নে পুরুষের সহযোদ্ধা:প্রধানমন্ত্রী

- Advertisement -
- Advertisement -

অন্যধারা ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, নারীরা ভোগের বস্তু নয়, নারীরা দেশে ও জাতির উন্নয়নে পুরুষের সহযোদ্ধা।নারীদের পথচলায় বিভিন্ন ধরনের বাধা আসবে কিন্তু থেমে গেলে চলবে না। সকল বাধা উপেক্ষা করে নারীদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

 

ইসলাম ধর্মে নারীদের সমান অধিকারের কথা বল্লেও আমাদের দেশে নারীদের সে ভাবে দেখা হয় না। নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। বিভিন্ন ধরনের বাধা বিপত্তি  আসলেও নারীদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন ধরনে উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নারীদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে ৬০ ভাগ নারী নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা হয়েছে যেখানে নারীদের অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হয়েছে।  ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে  একজন নারী ও একজন পুরুষ উদ্যোক্তা নেওয়ার জন্য নীতিমালা করা হয়েছে। আমরা  আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের মাঝে  ঘর দেওয়া ব্যবস্থা করেছি। এসব আশ্রয়ন প্রকল্পে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি কখনো বিচ্ছেদ হয় তবে ঐ ঘরের মালিক হবে স্ত্রী বা পরিবারের নারী সদস্য। এভাবেই নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গদের চাকরি দিলে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে।একটা সময় বাবা-মা অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নিলে তাদের লুকিয়ে রাখতো।বাবা-মা হিজড়া সন্তান হলে ফেলে দিতো। হিজড়া সম্প্রদায় খুব অবহেলিত ছিল।  আমরা সংবিধানে ও সমাজে তাদের স্থান করে দিয়েছি। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা শিল্প কারখানা যদি প্রতিবন্ধী কিংবা তৃতীয় লিঙ্গ দের চাকরি দেয়, তাদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে। আমরা বয়স্ক ও বিধবা ভাতার পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ভাতাও দিচ্ছি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা নারী উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় পাঁচজন নারীকে পদক তুলে দেন।

বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত পাঁচ নারী:

যশোরের অর্চনা বিশ্বাস,সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা,নারী শিক্ষায় কুমিল্লার প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখায় কুমিল্লার শামসুন্নাহার রহমান পরাণ (মরণোত্তর) এবং পল্লী উন্নয়নে কুষ্টিয়ার গবেষক ড. সারিয়া সুলতানা।

পদকপ্রাপ্তদের চার লাখ টাকার চেকসহ ১৮ ক্যারেটের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

সাপ্তাহিক অন্যধারা//আর এম

- Advertisement -

আরো পড়ুুর