আফিয়া রুবি
আমি এমন একজনের কথা বলছি-
অনেক চেনার মাঝেও জানার থাকে অনেক কথা। চলন-বলন লেখার ধরণ অনেকের থেকেই আলাদা করে পরিচিতি এনে দেয় তাঁকে। লেখনশৈলীতে যেমন করে প্রিয়াকে মধুর আহ্বানে কাছে টানে প্রয়োজনে সমাজ সংস্কারেও সুমসৃণ ধারালো শব্দের বাক্য ছুঁড়ে দেয় নীতিহীণ নীতি নির্ধারকের পশ্চাৎদেশে।
আমি এমন একজনের কথা বলছি-
কথার প্রয়োজনীয় ব্যবহারে মন ভাল করা কাব্যিক গান, নান্দনিক উপস্থাপনে গুণের প্রশংসা, শোভনীয় বাক্যে দীর্ঘ সময়ের সভার পরিচালনা কখনোবা তেজস্ক্রিয়া দু’লাইন ছুঁড়ে দেয়া তেজের বহিঃপ্রকাশ। যেমন করে ভাবের পদাবলীতে প্রিয়তমাকে বলেছেন তিনি-
“কেমনে বুঝাই আমার চোখে
ভাসছে সদা তোমার মুখ
ক্রান্তি কালের শান্তি তুমি
এই অধমের চরম সুখ।
আবার ভালবাসার কাছে ভালবাসার দাবীতে ফিরে এসেছেন এভাবে, করেছেন বিনয় নিবেদন-
“জীবন প্রদীপ যাচ্ছে নিভে
সুখের স্মৃতি প্রিয়ার চুল
আঁচল দিয়ে দাওনা ঢেকে
অধম রনোর হাজার ভুল।”
আমি এমন একজনের কথা বলছি- প্রকৃতির প্রেমেও বিভোর যিনি সময় অসময়। স্মৃতির পাতায় সুখের খোঁজে কিছু দারুন সময়- “নদীর আড়াই প্যাঁচ ঘোরার স্রোতে ঘুরেছি আমি বেলা অবেলায় মহুয়ার বনে ডুবেছি পড়ন্ত বিকেলের ক্লান্ত সূর্যস্নানে।” আমি এমন একজনের কথা বলছি- কখনো কখনো কলম হয়ে উঠে যার অস্ত্র। ঝরে কালির ডগায় সমুচিত জবাব। শিরোনামধারী ‘আমার কবিতা’ হয়ে উঠে সকলের প্রিয় জীবনী পাঠ। বলেছেন দৃঢ় মনোবলে— “আমার কবিতা সীমান্ত রক্ষী বাংলাদেশের প্রতীক আমার কবিতা ঝঞ্ঝা তুফানে পথচলা এক পথিক আমার কবিতা ভূখা-নাঙ্গাদের মুখে তুলে দেয় ভাত আমার কবিতা লাখো শহীদের মুষ্টিবদ্ধ হাত আমার কবিতা বিশ্বায়নের স্বপ্নে তোলা ঝড় আমার কবিতা দেশাত্মবোধে ভীষণ শক্তিধর আমার কবিতা মুক্তিসেনার বুলেট বিদ্ধ খুলি আমার কবিতা ভয় করেনি এটম বোম আর গুলি।” সাংগঠনিক শক্তিতে-প্রজ্ঞাতে যিনি বলিয়ান, দৈনিক কাগজের জল্পনা-কল্পনা সম্পাদকীয় যার নেশা ও পেশা, যার শিরোনাম শিরোনাম গুণ তাঁকে কি নামে শিরোপিত করা যায়? কবি, লেখক, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক নাকি কর্ণধার। যাঁকে আসলে কোন একটা থেকেও বেদখল করা যায় না। আমি আজ তাঁর কথাই বলছি— অর্জনের অপর নাম- সৈয়দ রনো। অনুরাগের আরেক নাম- সৈয়দ রনো। যাঁর পুরো নাম- ড. সৈয়দ নুরুল হুদা রনো। কবি শিরোনামেই তাঁকে আমার চিনতে ভালো লাগে। হইতে, তারিখ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
দৈনিক অন্যধারা // এইচ