চুরির দায়ে গ্রেফতার স্থানীয় ‘ভিআইপি’

- Advertisement -
- Advertisement -

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

এবার জি-২০ সম্মেলন হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের গুরুগ্রামে। এ উপলক্ষ্যে বিশ্বের প্রধান প্রধান উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রতিনিধি দল ভারতে অবস্থান করছে। আর এর মধ্যেই ঘটে গেলো আজব এক ঘটনা। সম্মেলন ‍উপলক্ষে কেনা টবসহ ফুলের গাছ চুরির দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন গুরুগ্রামের এক বাসিন্দা।

এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সে ঘটনার একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, জি- ২০ সম্মেলন উপলক্ষে পথের দু’ধারে রাখা টবসহ কয়েকটি ফুলগাছ নিজের দামি গাড়িতে তুলে নিচ্ছেন এক ব্যক্তি। দূর থেকে পুরো কাণ্ড মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। পরে ভিডিওটি টুইটারে পোস্ট করে দেন।

ভিডিওটি শেয়ারেই বাধে যত বিপত্তি। ভাইরাল হওয়ার একদিন পরেই মনমোহন যাদব (৫০) নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে গুরুগ্রাম পুলিশ। ওইদিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, গ্রেফতার ব্যক্তি স্থানীয়ভাবে বেশ প্রভাবশালী।

জানা যায়, ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে পুলিশ মনমোহনের গাড়ির নম্বর চিহ্নিত করে। আর তা ধরেই পৌঁছে যায় অপরাধীর বাড়িতে। পরে তাকে গ্রেফতারের পাশাপাশি গাড়ি বাজেয়াপ্ত ও চুরি যাওয়া টবসহ ফুলগাছগুলো উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় আরও এক আসামি রয়েছেন। পুলিশ জানায়, তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

কেন এমন কাণ্ড করলেন মনমোহন? তার দাবি, সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি থেকে গুরুগ্রামে ফেরার সময় রাস্তার ধারে সাজিয়ে রাখা ফুলগাছগুলো তার চোখে লাগে। একপর্যায়ে গাড়ি থামিয়ে গাছগুলো দেখতে থাকেন। পরে লোভ সামলাতে না পেরে, কয়েকটি গাছ গাড়িতে তুলে নেন। তবে তিনি ভাবতেই পারেননি, কেউ এ ঘটনার ভিডিও করে রাখতে পারে।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মনমোহনকে নিয়ে ট্রল করতে শুরু করেছে নেটিজেনরা। এমনকি, নাগাল্যান্ড রাজ্যের মন্ত্রী তেমজেন ইমনা আলংও বিষয়টি নিয়েম মজা করেছেন।

ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করে তেমজেন লেখেন, গাছসহ ফুল দিয়ে হয়তো বউকে সামলাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু এখন পুলিশকে সামলাতে হচ্ছে। তেমজেনের ওই টুইটটিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে মন্ত্রীর মজাদার টুইটের প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি প্রকাশ করেছেন নিজেদের মতামত।

একজন লিখেছেন, চাচার কাছে হয়তো গোলাপ কেনার টাকা ছিল না। তাই টবসহ ফুলের গাছ উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। তেনজেমকে উদ্দেশ্য করে আরেকজন লিখেছেন, আপনি সেরা স্যার।

খ.র // দৈনিক অন্যধারা

- Advertisement -

আরো পড়ুুর