অন্যধারা প্রতিবেদক:
শিশুশিল্পী হয়ে শোবিজে ক্যারিয়ার শুরু করেন বর্তমান সময়ের নায়িকা পূজা চেরি। অভিনয় দিয়ে একে একে কেটে যায় তার ছয়টি বছর। এরই মধ্যে দর্শকদের ডজনখানেক সিনেমা উপহার দিয়েছেন
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী জানান, সত্যের পক্ষে থাকতে পছন্দ করেন পাশাপাশি কখনো তিনি সুবিধাবাদী ছিলেন না বলে দাবি করেছেন। সাক্ষাৎকারে পূজা চেরি বলেন, ‘যেটা সত্য সেটাই হওয়া উচিত এবং যেটা সত্য সেটার পক্ষে থাকা উচিত আর আমি আসলে সত্যের পক্ষে থাকতে পছন্দ করি।’
সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘আমার সবকিছু ভালো লাগে নতুন বাংলাদেশে পুরাতন বাংলাদেশ। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশকে আমার খুব ভালো লাগে। যেহেতু আমি কোন কিছুর সাথে জড়িত ছিলাম না, এবং আমার কাছে মনে হয় যে সত্যের পক্ষে থাকাটা জরুরি সেটা যে পক্ষের হোক না কেন। যে সত্য তার পক্ষে থাকাটা জরুরি এবং আমি কখনও সুবিধাবাদী লোক ছিলাম না।’
শেষে তিনি বলেন, আমি চায় দর্শকদেরকে ভালো কাজ উপহার দিতে, যাতে আমার ভালো কাজ দর্শকরা দেখতে পারে। আপাতত কোন পরিকল্পনা নেয় কিছু কাজের কথা চলছে সেই কাজ গুলো নিয়ে এগুচ্ছি।
উল্লেখ্য, ‘পোড়ামান-২’ সিনেমা দিয়ে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় পূজা চেরির। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা ‘নূরজাহান’। এরপর ‘দহন’, ‘প্রেম আমার-২’, ‘গলুই’, ‘শান’ সিনেমাগুলোতে বড় পর্দায় দেখা গেছে তাকে।
প্রয়াত মায়ের উদ্দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন এই নায়িকা। যেখানে উঠে এসেছে তার মনের ভেতরে জমে থাকা একরাশ কষ্ট, বেদনার কথা।
মায়ের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে পূজা লিখেছেন, মা, এই প্রথম তোমাকে ছাড়া আমার জন্মদিন এসে গেল। খুব করে মনে পড়ছে গত বছরের কথা। তোমার শরীরটা তেমন একটা ভালো ছিল না, কিন্তু আমি মন খারাপ করে তোমার সাথে একটু উচ্চস্বরে বলে উঠলাম—‘সবার মা কিছু না কিছু করে, তুমি তো আমার জন্য পায়েশও বানাচ্ছো না।
উফ, কান্নায় চোখটা ভরে উঠছে। তুমি নেই ৬ মাস হলো। কতদিন তোমাকে দেখি না গো মামুনি। জানি না সৃষ্টিকর্তা আমাকে কতদিন বাঁচিয়ে রাখবে। তবে যতদিন এভাবে বেঁচে থাকব কীভাবে বুকে এই আটকে থাকা কষ্টকে দমিয়ে রাখব? তা তো সম্ভব না।
জন্মদিনে স্বার্থপরের মতো একটা কিছু চাইব মামুনি। এপারে তো নিজের রাখোনি, সবসময় আমার খেয়ালই করে গেছিলে। ওপারে অন্তত নিজের খেয়াল রেখ মামুনি। ভালো থেকো আমার লক্ষ্মী মামুনি। তোমার মেয়েটা আর কিছু লিখতে পারছে না চোখভর্তি জল চলে আসছে আর চোখটা ব্যথা করছে। অনেক ভালোবাসি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ)সকাল ১১টার দিকে মিরপুরের নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন পূজার মা ঝর্ণা রায়। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। বেশ কয়েকদিন ধরে অভিনেত্রীর মায়ের শারীরিক অবস্থার অবণতি হতে থাকে। বাসাতেই চিকিৎসকের পরামর্শে তার চিকিৎসা চলছিল। এরপর ২৪ মার্চ সকালেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
অন্যধারা/ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪