কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত সোলারে বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জনপদ

- Advertisement -
- Advertisement -

রাশেদুজ্জামান তাওহীদ, কুড়িগ্রামঃ

সোলারের আলোয় আলোকিত সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের গ্রামীণ জনপদ। অবহেলিত এ জেলার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহানুভূতিতে এবার ২০টি পরিবার, মসজিদ, মাদরাসা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পেয়েছে এডিবি বরাদ্দের সোলার প্যানেল। যেসব পরিবারে রাতের বেলা আলো জ্বলতো না এমন পরিবার সোলার পেয়ে আবেগে আপ্লুত। অসহায় এবং প্রতিবন্ধী এসব পরিবার আলো পেয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য সহকারী অধ্যাপক মাহবুবা বেগম লাভলীকে। এডিপির এসব বরাদ্দে সর্বক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নয়ন ছোঁয়া। বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জনপদের দৃশ্যপট ।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদের আওতাধীন এবার কুড়িগ্রাম সদর এবং রাজারহাট এলাকায় বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব সোলার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য সহকারী অধ্যাপক মাহবুবা বেগম লাভলী ২’শটি টিউবওয়েল, গ্রামীণ জনপদের চলাচলের অনুপযোগী ৬টি কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ এবং বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরে এডিবির বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন।
হলোখানা ইউনিয়নের বায়তুন নবী মসজিদে সোলার প্যানেল পাওয়া মসজিদের মোয়াজ্জিন মাওলনা সৈয়দ আলী বলেন-এ বছর জেলা পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মাহবুবা বেগম লাভলী আপা ১৮ লক্ষ টাকা এবং একটি সোলার দিয়েছেন। যা পেয়ে মুসল্লিরা খুবই খুশি। আমাদের অনেক দৈন্যদশা ছিল যা এখন নেই।
সোলার পেয়ে কুড়িগ্রাম শহরতলির বিধাব রোকসানা বেগম জানান-আমার তিন সন্তান নিয়ে সেলাই মেশিন দিয়ে কোনো রকমে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করে আসছি। বিদ্যুতের অভাবে রাতে কাজ করতে পেতাম না। সোলার পেয়ে এখন গভীর রাত পর্যন্ত সেলাই কাজ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছি।
হলোখানা ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী দুলালের ঘরে রাতের বেলা আলো জ্বলতো না। সোলার পেয়ে বেজায় খুশি। তার ভাই খাইরুল ইসলাম জানান, আমার ভাই প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে সোলারের আলো পেয়ে তার জীবনযাপনে স্বাভাবিকতা এসেছে। আগে অন্ধকারে তার চলাফেরায় খুব কষ্ট হতো।
এ ব্যাপারে কথা হলে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য সহকারী অধ্যাপক মাহবুবা বেগম লাভলী জানান, সম্প্রতি বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গ্রাম হবে শহর এমন ঘোষনার পর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমার নির্বাচনী এলাকা রাজারহাট এবং সদর উপজেলায় বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নে সুষ্ঠুভাবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এডিপির এসব বরাদ্দে গ্রামীণ জনপদের দৃশ্যপট বদলে যাচ্ছে। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। আগামীতে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে-ইনশাল্লাহ।

দৈনিক অন্যধারা// কে. আর

- Advertisement -

আরো পড়ুুর