
জানা গেছে, অনেক স্থানের পাকা ও আধা পাকা বোরো ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় দিশেহারা কৃষকরা। নিরুপায় হয়ে পড়ছেন শ্রমিক সংকটের কারণে। তাই পরিবারের ছোট বড় সবাই মিলে পানিতে নেমে বোরো ধান কেটে তা নৌকায় করে উঁচু স্থানে তুলছেন।
কৃষকরা জানান, অধিকাংশ বোরো ধান পেকে গেছে। তবে এখনও কিছু ক্ষেতের ধান আধা পাকা রয়েছে। কিন্তু টানা দুদিনের বৃষ্টিতে অনেকেরই পাকা ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে যারা পাকা ধান কাটছেন তারা মোট ফসলের এক তৃতীয়াংশ এবং যাদের ধান আধা পাকা ধান কাটছেন তারা অর্ধেক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
এছাড়াও জানা গেছে, ছড়ারপাড় এলাকার কৃষক রেজাউল করিমের দুই বিঘা জমির বোরো ধানক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত অর্ধেক ক্ষেতের ধান কাটা হয়েছে। কিন্তু অর্ধেক ক্ষেত পানিতে তলিয়ে থাকায় ধান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
গত ৪৮ ঘণ্টায় জেলায় ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দু-একদিন ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানান রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর হোসেন।
দুই দিনের বৃষ্টিপাতে বোরো চাষিরা ধান কাটতে কিছুটা সমস্যার মুখে পড়ছেন। তবে ৭০ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। বৃষ্টির কারণে আবাদে তেমন ক্ষতি হয়নি বলে মন্তব্য করেন কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রশীদ।
দৈনিক অন্যধারা/১৫ মে ২০২২/জ কা তা