বিনোদন জগতে ‘প্রার্থনা ফারদিন দীঘি’ একটি আলোচিত-সমালোচিত নাম। বিনোদন জগতের বাইরেও তিনি বেশ পরিচিত। দীঘিকে চিনেন না এমন লোক পাওয়া খুবই মুশকিল। ছোট থেকে বুড়ো বয়সের সকলেই তার নামটি জানেন।
‘বাবা জানো আমাদের ময়না পাখিটা’ বুলি দিয়ে শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বর্তমানে তিনি নিজেকে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু বাংলা সিনেমায় নায়িকা চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারছেন না দীঘি। কারণ হিসেবে অনেকেই তার টিকটকপ্রীতিকে দুষছেন। টিকটকই তার সিনেমায় পথের কাঁটা বলে সিনেবিশ্লেষকদের কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন।
টিকটক করার কারণেই দীঘি বাদ পড়েন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার একটি সিনেমা থেকে। সর্বমহলে আবারও শোনা যাচ্ছে, টিকটক করে দীঘি তার ইমেজ নষ্ট করছেন। এ বিষয়ে নায়িকা দীঘি জানান, তিনি টিকটক থেকে দূরে সরে আসছেন। এবং অন্যদেরও টিকটক থেকে সরে আসতে অনুরোধ করেন।
শনিবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় নায়িকা পরীমণি’র স্বামী শরিফুল রাজ-বিদ্যা সিনহা সাহা মীম অভিনীত ‘পরাণ’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দীঘি বলেন, ‘টিকটক আমি একা করি না বাংলাদেশের নায়িকাদের মধ্যে, অনেকেই করে। আমি জানি না তাদের কেন এই প্রশ্ন করা হয় না। তবে আপনারা যদি এখন আমাকে ফলো করেন, আমার হাতে আসলে ওই সময়টা নেই। পড়াশোনা, এসবই আমার হাতে। সময় এতটাও পাওয়া যায় না। আমি যেহেতু জিনিসটা সময় দিতে পারছি না, জিনিসটা থেকে বের হয়ে আসতেছি। আপনারাও বের হয়ে আসেন এবার। আসলে টিকটক আমরা সবসময় করার সময় পাই না, আমাদের হাতে এত অঢেল সময় থাকে না যে টিকটক করার জন্য রেডি হব। যখন আমরা ফ্রি থাকি, একটা কাজ করছি তখন ১৫ সেকেন্ড করা যায়।’
টিকটকের মাধ্যমে অগণিত ভক্ত-অনুরাগী পাওয়া নিয়ে দীঘি আরও বলেন, ‘টিকটকে আমার জনপ্রিয়তা বেড়েছে না কমেছে, আমি জানি না। টিকটকে আমাকে মানুষ অনেক সাপোর্ট দিয়েছে, পছন্দ করেছে। যার জন্য একসময় অনবরত করা হতো। আমার ফলোয়ার এ জন্যই বেড়েছে। সবাই আমাকে ভালোবাসে।’
চলতি বছরে দীঘি বড় পর্দায় আসছেন ২টি সিনেমা নিয়ে। সিনেমা ২টি হলো— ‘মুজিব’ ও ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’।
দৈনিক অন্যধারা/২৫ জুলাই ২০২২/জ কা তা
