অন্যধারা ডেস্ক-১

ছয় চরণের স্তবক – ১২৬। দ্বীপ সরকার

ছয় চরণের স্তবক – ১২৬ দ্বীপ সরকার মনের ভেতর ধেয়ে আসা ঝড়-আলপথে হাঁটা নগরের গলি থেকে আউটডোর মাচানে পিপিলিকারা করে মৃত্যু যাপন ভালো লাগে না,ভেতরে বিক্ষত ফড়িং হাওয়া তেড়ে আসে, ধেয়ে আসে অথচ ঝড় আমাকে স্পর্শকরে না-স্পর্শ করে আঁচলের ঘ্রাণ। অন্যধারা/২ আগস্ট'২০/এসএএইচ

ছয় চরণের স্তবক– ১২৪। রমা সিমলাই

ছয় চরণের স্তবক– ১২৪ রমা সিমলাই কঠিন অভিমান দু' হাতে সরিয়ে আয় একটু পাশাপাশি বসি হাত রাখি হাতে।যদি এই মেঘ- দুপুর বিষাদী ডাহুক আর না ফেরে জেনে যা, আজও শুধু তোর জন্যই আমার কবিতা মিছিলমুখ হয়ে ওঠেনি। অন্যধারা/২ আগস্ট'২০/এসএএইচ

ছয় চরণের স্তবক –১২৩। মোনালিসা রেহমান

ছয় চরণের স্তবক –১২৩ মোনালিসা রেহমান ভোরের আজান আর আমার মায়ের তসবীহ্ জায়নামাজ হাতে সেই রূপ মনে পড়িয়ে দেয় ছোট্ট বেলার ওয়াদার বড় হলে আমিও নামাজ পড়ব এই আশায় বড় হতে হতে আজো বড় হতে থাকি। অন্যধারা/২ আগস্ট'২০/এসএএইচ

ছয় চরণের স্তবক–১২২। টিপু সুলতান

ছয় চরণের স্তবক–১২২ টিপু সুলতান আমি দেখি,অন্ধকার হ্রদ থেকে নগরী ডুমুর গাছ-শরীর পোড়ায়ে নেশাপান খেলছে শালিকের অভ্যর্থনা হতে পৃথিবী,অরণ্য হাওয়া তারপর কাঠ বোতাম গহিনে,নীলিমার মাস্তুল আঙুলে বাদামুফুলের পাখি,ধূলোর শেকড় জমিয়ে ফের শুনি লতামঙ্গেশকর গানেরগলা,নগরে নগরে। অন্যধারা/২ আগস্ট'২০/এসএএইচ

ছয় চরণের স্তবক ১২১। সরকার মাহবুব

ছয় চরণের স্তবক ১২১ সরকার মাহবুব কখনো কাতর হলে, ব্যাথায় পাথর হলে হতাশা হতাশ হলে, সাহসে সাহসী হলে বলে ও বীর্যে বলিয়ান হলে তৃষ্ণায় তৃষিত হলে, কামনায় প্রলুব্ধ হলে তোমার- কন্ঠস্বর শুনে বলে দিতে পারি কোথায় প্রোথিত তোমার হৃদয়ের বীজ ! অন্যধারা/২ আগস্ট'২০/এসএএইচ

ছয় চরণের পদ্য–১২০। আল ইমরান

ছয় চরণের পদ্য–১২০ আল ইমরান জল জমেছে ঢেউ উঠেছে ঢেউ দুঃখ গুলো পাল বেঁধেছে দেখার আছো কেউ জলের বাড়ি বহুত দূর তোমরা আমায় সঙ্গে করে নেও। অন্যধারা/২ আগস্ট'২০/এসএএইচ

ছয় চরণের স্তবক –১১৯। লুনা আহমেদ

ছয় চরণের স্তবক –১১৯ লুনা আহমেদ যেহেতু পৃথিবী এখন জাগ্রত আপনার ঘুমানো উচিত দুজনে জেগে থাকলে বিভেদ বাঁধতে পারে। পিতা যখন পিতামহকে এই গল্প বলছিলো দূর থেকে চিৎকার করে বললাম জেগে থাকা আপনারও সাজে না পিতা যেহেতু আমিও জেগে থাকতে চাই। অন্যধারা/১ আগস্ট'২০/এসএএইচ

ছয় চরণের স্তবক –১১৮। এম মোস্তাকুল হক

ছয় চরণের স্তবক –১১৮ এম মোস্তাকুল হক ছেঁড়া রোদ, ত্যাড়া বাতাস – মাতলামীতে সদ্য সন্ধ্যামণির হাতে খেয়েছে ধরা। উক্তিতে যুক্তি থাকবেই – থাকে সন্দেহ- ঘোর অবেলায় কেন নিরিবিলি বাঁকে? তিনটে শকুন মেল্লো পাখা, ফেল্লো সাক্ষী ছক; বাজ এসে মাঝখানে বৌদ্ধিক বাধালো বিরোধ। অন্যধারা/১ আগস্ট'২০/এসএএইচ

ছয় চরণের স্তবক –১১৭। কল্যাণ চক্রবর্তী

ছয় চরণের স্তবক –১১৭ কল্যাণ চক্রবর্তী নিয়ত শব্দের যাদু খেলে যায় কবি চিত্রকল্প শব্দগুচ্ছে আঁকে প্রতিচ্ছবি তার মাঝে উপমায় ভরে দেহ মন বসন্তের ফুলে ফুলে করে বিচরণ অশান্ত বাদল এসে স্নিগ্ধ করে ধরা কবিতার চোখ মুখ চাঁদে হয় গড়া। অন্যধারা/১ আগস্ট'২০/এসএ এইচ

ছয় চরণের স্তবক –১১৬। অংশুমান চক্রবর্তী

ছয় চরণের স্তবক –১১৬ অংশুমান চক্রবর্তী ভিড় বাসে ঘামে ভেজা তুই এক মেয়ে অগুন্তি লোভী চোখ তোর দিকে চেয়ে উদরে ফুঁসছে খিদে, নাকি আরো নীচে বাসুকি দাঁড়িয়ে আছি আমি তোর পিছে দেবতা, ছত্র ধরো, খুব তাড়াতাড়ি এই মেয়ে শান্তিতে পৌঁছাক বাড়ি। অন্যধারা/১ আগস্ট'২০/এসএএইচ

About Me

34 POSTS
0 COMMENTS
- Advertisement -spot_img

Latest News

এতিম হিফজ শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন কোরআন তুলে দিল দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন

"শিক্ষা সকলের অধিকার , নতুন বই পাওয়া সবার দরকার" এই স্লোগানকে ধারণ করে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন বরাবরের ন্যায় এবারও...
- Advertisement -spot_img