- Advertisement -
অন্যধারা ডেস্ক
চার্জার ফ্যান-লাইট আর আইপিএসের বাজারে অরাজকতা চলছে। দেশজুড়ে লোডশেডিং শুরুর পর নবাবপুর কেন্দ্রীক কয়েকজন আমদানিকারকের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে এসবের বাজার। গেলো সাত দিনের মধ্যে এসব প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পাইকারিতেই দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন এসব আমদানিকারকরা। যদিও বাজারে এসব পণ্যের যোগান রয়েছে অনেক। ব্যবসায়ীরা সরাসরি স্বীকারও করে নিয়েছেন, করোনা মহামারীকালের সব ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার একটা বড় সুযোগ তারা পেয়েছেন। তাই পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের সমন্বয় করতে সারাদেশে এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করে হয়েছে। যা গত মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে কার্যকর করা হয়। এই পরিস্থিতিতে তীব্র গরমের মধ্যে মানুষের চাহিদার তুঙ্গে রয়েছে চার্জার ফ্যান। সেই চার্জার ফ্যানের দাম বাড়ছে দফায় দফায়। অথচ বাজারে সয়লাব হয়েছে আছে পণ্যটি। গেলো ১৬ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত দাম বেড়েছে প্রতিদিন। প্রথমে ২,৬০০ টাকা। তারপর ২,৮০০, ২,৯৫০ এবং সবশেষ ৩,৩০০। অথচ এই ফ্যানের আমদানি মূল্য ছিলো ১৬শ’ টাকা।
এখন বাজারে যেসব চার্জার ফ্যান পাও্য়া যাচ্ছে, তার বেশিরভাগই এক বছর আগে আমদানি করা। এসব পণ্য যারা আমদানি করেন তাদের একজন সাখাওয়াত হোসেন। নবাবপুরের মোজাম্মেল মার্কেটের দোতলায় তাঁর কার্যালয়। তিনি স্বীকার করলেন, বেশি দামে ফ্যান বিক্রি করে তিনি তার করোনাকালের ক্ষতি পোষাচ্ছেন। তিনি যখন ব্যবসার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মরিয়া; তখন পাশের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে দু’দিন আগে যে চার্জার ফ্যানের দাম ছিলো ২৫শ’ টাকা। সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫শ’ টাকায়। এই কারসাজির বিরুদ্বে মাঠে নেমেছে ভোক্তা অধিকার। একই অবস্থা চার্জার লাইট, আইপিএসের দামেও। ৮০০ থেকে হাজার টাকার লাইটগুলো পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮শ’ টাকায়। লোডশেডিংয়ের এই সময়ে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আইপিএসের দাম। আট থেকে ১০ হাজার আইপিএস এখন বিকোচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। পাইকারির বাজারে যখন এই অবস্থা; খুচরায় তখন রিতিমতো অরাজকতা। সেখানে ইচ্ছে মতো দামে বিক্রি করছে তারা।
দৈনিক অন্যধারা/ এইচ
- Advertisement -