অন্যধারা ডেস্ক
টিকিট যার ভ্রমণ তার’ এই নীতি বাস্তবায়ন করা গেলে রেলের সব অনিয়ম বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’- এটা এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারছি না আমরা। এটা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে সব অনিয়ম বন্ধ হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন অডিটোরিয়াম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে রেললাইন ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা নিয়ে এসেছি উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, আশা করছি আগামী জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলকে সংযুক্ত করতে পারবো। এটা বাস্তবায়িত হলে ফরিদপুর-রাজবাড়ি দিয়ে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল সংযুক্ত হবে। তিনি বলেন, রেল ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। একসময় খুলনা থেকে বাগেরহাট পর্যন্ত রেললাইন ছিল, সেটা উঠিয়ে সড়কপথ তৈরি করা হয় বলে তিনি জানান।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এক সময় তিন হাজার কিলোমিটার রেলপথ ছিল। সেটি কমে দুই হাজার ৫০০ কিলোমিটারে নেমে আসে। রেলকে প্রায় ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। রেললাইনই যদি না থাকে, তাহলে ট্রেন চলবে কীভাবে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক রেল মন্ত্রণালয় গঠন করে দেন, এরপর নতুন যুগের সূচনা হয়।
রেলের অনিয়ম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা তো ব্যবস্থা নিয়েছি। রেলের অনিয়ম দূর করতে টিকিট কালোবাজারি মুক্ত করার চেষ্টা করছি। এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনলাইনে রেলওয়েকে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। রেলের টিকিট যেন কালোবাজারি না করতে পারে সেই চেষ্টা আমরা করছি।
ট্রেনের ছাদে যাত্রী ওঠা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ফলে আমরা ছাদে যাত্রী ওঠা বন্ধ করতে সক্ষম হবো বলেও জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলালের সঞ্চালানায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, বেসামরিক ও বিমান পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বারের সাবেক সভাপতি ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার এম. আমীর উল ইসলাম, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার ড. বাসির আহমেদ, সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী।
দৈনিক অন্যধারা/ এইচ