পৃথিবীতে এমন কোন লোক নেই যিনি বিয়ে নিয়ে ভাবেননি। বিয়ে নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ থাকেনা। কার বিয়েতে কতজন মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। ওয়েডিং ডেস্টিনেশন কোথায় কেমন হবে। বিয়েতে খরচ কে কত বেশি কম করবে, বর-কনের গয়না, পোশাক ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা শুরু অনেক আগে থেকেই।
এতোসব আয়োজনের পরেও যদি বিয়ের কয়েকদিন বা বছরখানেক পরেই স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটে তখনই শুরু হয় বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মন্তব্য।
এবার বিয়ের খরচের উপর দম্পতির সম্পর্ক স্থায়িত্বের সময়কালের যোগসূত্রতা পর্যবেক্ষণ করে সব চিন্তার অবসান ঘটিয়ে ভিন্ন এক তথ্য দিচ্ছেন সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও এমরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা।
তারা জানিয়েছেন, বিয়েতে বেশি খরচ করা হলে সে বিয়ে বেশি দিন টেকসিই হয় না। তবে কম খরচে বিয়ে সারলেই তা দীর্ঘস্থায়ী হয়। বিয়েতে কম খরচ করা দম্পতিদেরই অন্য দম্পতিদের চেয়ে একসঙ্গে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
অনেকেই বিয়েতে খরচের ঋণ করে থাকেন। যা পরিশোধ করতে গিয়ে সংসারে চাপ পড়ে। আর এ সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া-বিবাদ ও মনোমালিন্য শুরু হয়ে হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সমন্বিত একটি অর্থ, বিবাহ ও যোগাযোগ শীর্ষক গবেষণায় পাওয়া যায়।
এক সময়ে আর্থিক সমস্যার কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সম্পর্কের অবনতির ফলে বিচ্ছেদের পথেও হাটেন অনেক দম্পতি। এসব বিষয়ে ধারণা করা হয় যে, বিয়েতে যত কম খরচ হবে তত ঋণের চাপ কম হবে। ফলে সংসারেও আর্থিক সমস্যার কারণে কোন চাপ পড়ে না।
তাই আপনার বিয়েতে খরচ কমিয়ে সেই অর্থ হানিমুনের জন্য ব্যয় করতে পারেন। আর এতে করে একান্তে সময় কাটানো, নিজেদের মাঝে বোঝাপোড়া ও ভালোবাসা বাড়িয়ে আপনাদের মাঝে সম্পর্কের অবনতির চেয়ে মজবুদ হবে অনেকগুণ বেশি।
একটি সমীক্ষার ৬৩ শতাংশ উত্তরদাতাই বিয়েতে খরচ বেশি করার চেয়ে পছন্দের জায়গাগুলোতে হানিমুনে যাওয়ার বিষয়েই মতামত প্রদান করেছেন।
সূত্র: ব্রাইট সাইড/রামসি সল্যুশন
দৈনিক অন্যধারা/২৩ মে ২০২২/জ কা তা