অন্যধারা ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় ৭১ জনের নামসহ পাঁচ হাজার জনকে আসামি করেছে পুলিশ।
অপরদিকে সংঘর্ষের সময় শাওন নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে তার ভাই মিলন প্রধান। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীর ছোঁড়া গুলিতে শাওনের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।
এজাহারে মিলন উল্লেখ করেন, তার ছোট ভাই শাওন ঘটনার দিন বেলা পৌনে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দুই নম্বর রেলগেট এলাকার পাকা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো। ওই সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছিল। এক পর্যায়ে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল, ককটেল ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি নিক্ষেপ করে। সেই অবৈধ অস্ত্রের গুলি ও ইটের আঘাতে শাওন আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পরে সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মিলন হাসপাতালে গিয়ে ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।
তবে এই এজাহারের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করছেন নিহত শাওনের আরেক ভাই ফরহাদ।
তিনি বলেন, মামলার বিষয়ে তার কিছুই জানি নেই। শুনেছি আমার আরেক ভাই মিলনকে নাকি বাদি করা হয়েছে। কিন্তু মামলায় কী লেখা হয়েছে তা আমরা জানিনা।
ফরহাদ বলেন ছবিতে আমরা দেখেছি, শাওনকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিএনপির মিছিলের লোকজনই উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেছে। কাদের গুলিতে ভাই মারা গেছে সেটা পুলিশ তদন্ত করলই বেরিয়ে আসবে।
এদিকে মামলার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. অমীর খসরু বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই নিহতের ভাই মিলন প্রধান বাদি একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে শাওনের মৃত্যুর কারণ ও কারা এর সঙ্গে জড়িত তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে কিসের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে জানান।
তিনি জানান, পুলিশের করা মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
দৈনিক অন্যধারা/ এইচ