আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সুইজারল্যান্ডের অন্যতম বৃহৎ ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের পতনের পর ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর শেয়ারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংক খাতে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায় এমনটি হচ্ছে বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মানির ডয়েচে ব্যাঙ্ক ও ফ্রান্সের বিএনপি পারিবাসের প্রাথমিক লেনদেনে বড় পতন দেখা গেছে, যদিও উভয়ের শেয়ারই কিছুটা লোকসান পুনরুদ্ধার করেছে। তবে বিএনপি’র শেয়ারদর এখনও প্রায় ৫ শতাংশ ও ডয়েচে ব্যাঙ্কের শেয়ারদর এখনো ৬ শতাংশের নিচে রয়েছে। এদিকে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, এইচএসবিসি ও বার্কলেইস ব্যংঙ্কের শেয়ারদরেও পতন দেখা গিয়েছে।
বিবিসির বিজনেস রিপোর্টার জোনাথন জোসেফের মতে, ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর শেয়ারদর পতন, আজ (২০মার্চ, সোমবার) এশিয়ার ব্যাংকগুলোর শেয়ারদর পতনের অনুরূপ। এমনকি, সুইজারল্যান্ডের একমাত্র আন্তর্জাতিক ব্যাংক ইউবিএসও লন্ডন, প্যারিস ও ফ্রাঙ্কফুর্টভিত্তিক বড় ব্যাঙ্কগুলোর মতো শেয়ারদর পতনের মুখোমুখি হয়েছে। সুইজারল্যান্ড সরকার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রেডিট সুইসকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ব্যাংকটি ধারবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছিল। ফলে বিনিয়োগকারীরা এ ব্যাংক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে।
এর আগে গতকাল (১৯ মার্চ, রবিবার) প্রায় ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ৩২০ কোটি ডলারের ক্রেডিট সুইস ব্যাংককে ৩২৩ কোটি ডলারে কিনে নেয় ইউবিএস। একই সঙ্গে ক্রেডিট সুইসের ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ঋণের দায়ও নিয়ে নেয় ইউবিএস। দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, ১৬৭ বছরের পুরোনো ব্যাংক ক্রেডিট সুইসও অস্তিত্ব হারালো। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপের ব্যাংকগুলোও অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বৈশ্বিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাও গোলযোগের মধ্যে পড়েছে। জানা যায়, ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যেও নানা কারণে উভয় ব্যাংকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেসময় ইউবিএস সুইস সরকারের কাছ থেকে বেল-আউট পেয়েছিল। অন্যদিকে, গত বছর ক্রেডিট সুইস ব্যাংককে ৭ হাজার কোটি সুইস ফ্রাঁ’র লোকসান গুণতে হয়ে। ২০০৮ সালের পর এটি ছিল ব্যাংকটির সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি।
দৈনিক অন্যধারা / ২০-০৩-২০২৩